সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ছিল দাদা–ভাইয়ের। কিন্তু এই বিবাদ থামানোর পরিবর্তে তাতে ইন্ধন দিতেন তাঁদের বাবা বলে অভিযোগ। বড় ছেলের নাম নরওয়ে বেগ। ভাইয়ের নাম রাকেশ বেগ (২২)। তাঁদের বাবা হলেন উইলিয়াম বেগ। সম্পতির বিবাদের জেরে দাদার নরওয়ের হাতে খুন হন ভাই রাকেশ বলে অভিযোগ। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া ব্লকের জয়ন্তিকা চা–বাগানের গুদামলাইনে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা উইলিয়াম বেগ ও দাদা নরওয়ে বেগকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নরওয়ে আর রাকেশের মধ্যে যে ঝামেলা হতো তাতে বাবা উইলিয়াম নরওয়ের পক্ষ নিতেন। তাতে সংসারে অশান্তি নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সম্পতি নিয়ে ঝামেলা চলছিল দুই ভাইয়ের মধ্যে। শনিবার রাতে দুই ভাইয়ের ঝগড়া ও হাতাহাতি তুঙ্গে ওঠে। তারপর বিষয়টি থেমে গেলেও রবিবার সকালে রাকেশের নিথর দেখতে পান স্থানীয়রা। তাঁরা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। বাবা ও দাদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আচমকা আঘাত করা হয়েছে। তবে এটা প্রাথমিক অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। বাবা ও দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুন প্রমাণিত হলে আইন আইনের পথে চলবে।
জানা গিয়েছে, উইলিয়ামের বেশ কিছু সম্পত্তি আছে। যা তিনি বড় ছেলেকে দিয়ে যেতে যান। আর ছোট ছেলে এই বৈষম্য মানতে নারাজ। সমান ভাগের জন্য বারবার সে দাবি করত। আর এই নিয়ে দুই ভাইয়ের পারিবারিক বিবাদ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তবে তা খুনের পর্যায়ে চলে যাবে সেটা কেউ ভাবতে পারেনি। ইতিমধ্যেই খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।