সীমান্তে অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাচারের অভিযোগে মানব পাচার চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করল বিএসএফ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের তারালির বালতি বাজার এলাকায়। ঘটনায় ভারতীয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। ধৃতকে স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম সোহরাব সর্দার (২০)। ধৃত ওই যুবক স্বরূপনগরের আমুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবক বাংলাদেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা করছিল।
বিএসএফের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিটের তরফে জওয়ানদের জানানো হয় যে, ওই এলাকায় এক সন্দেহভাজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। খবর পেয়ে জওয়ানদের একটি দল বালতি বাজারের কাছে অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জওয়ানের লক্ষ্য করেন এক সন্দেহভাজন যুবক আন্তর্জাতিক সীমান্তের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। জওয়ানরা তাকে চ্যালেঞ্জ জানালে ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করে। তখনই তাকে ধরে ফেলে জওয়ানরা।
জওয়ানদের জেরায় ওই যুবক স্বীকার করে নেয় যে সে, দু’দেশের নাগরিকদেরই সীমান্ত পারাপার করিয়ে দিত। একইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের পাচারের সঙ্গেও জড়িত রয়েছে সে। জেরায় ধৃত ওই যুবক আরও জানিয়েছে, জিয়ারুল সর্দার নামে এক ব্যক্তি তাকে বিভিন্ন সময় মানব পাচারের কাজ দিত। পাচারের বিনিময় ২০০ টাকা করে পেত সোহরাব। সকালে জিয়ারুল তাকে ফোন করে জানায়, এক বাংলাদেশিকে নিত্যানন্দ কাঠি গ্রাম থেকে নিয়ে গিয়ে আমুদিয়ায় ছাড়তে হবে। সেই অনুয়ায়ী সোহরাব ওই বাংলাদেশিকে আনতে নিত্যানন্দ কাঠি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। তখনই তরালির বালতি বাজারের কাছ থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনা প্রসঙ্গে ১১২ ব্যাটেলিয়ানের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, ধৃত ওই অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিটের তালিকায় ছিল। ওই ব্যক্তি আগে থেকেই মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তিনি আরও জানান যে, ধৃত ওই অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। জওয়ানদের তৎপরতায় ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।