শিলিগুড়ি শহরের জনবহুল এলাকায় রেলের পরিত্যক্ত ঘরে প্রেমিকাকে ২ দিন ধরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার ১১ দিনের মাথায় অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। লাগাতার নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী। কী করে যুবক এই ঘটনা ঘটাল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও জোর করে আটকে রাখার ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেট।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছে, মাস ছয়েক আগে শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ার খোলাইবস্তির বাসিন্দা বিশাল সাহানি নামে ওই যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে তাঁদের। সম্প্রতি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। তাতেই বিশালের রোষে পড়েন তরুণী। ১১ জানুয়ারি কোনওক্রমে পালিয়ে বাড়িতে যান তরুণী। পরিবারের লোকেদের সব কথা জানান তিনি। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ২ দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ১৩ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ জানায় সে।
অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। প্রায় ৭ দিন নিখোঁজ থাকার পর টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে টাকা নিতে বাড়ি ফেরে বিশাল। তখন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যদিও অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, তরুণী স্বেচ্ছায় বিশালের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় তিন দিনের মাথায় বাড়ি ফিরে আসে সে। এর পর পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। জংশন স্টেশনের মতো জনবহুল জায়গায় কি কাউকে পণবন্দি করে রাখা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন ধৃতের পরিজনরা। অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচার।