মহিলার শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতার হাতে ব্যাপক মার খেলেন প্রতিবাদী যুবক। গুরুতর জখম প্রতিবাদী যুবক রাজু রুহিদাস পুরুল্যা দেবেন মাহাতো গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনা পুরুল্যার বলরামপুর শহরের।
অভিযোগ, গত ৮ জানুয়ারি রাত্রে বলরামপুর শহরের রেজিস্ট্রি পাড়াতে এক গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে শ্লীতাহানির চেষ্টা করে যোগেন রুহিদাস নামে এক তৃণমূল কর্মী। গৃহবধূর আত্মীয় রাজু রুহিদাস ও তাঁর পরিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করেন। ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখেন তাঁরা। সেদিন ওই ঘটনায় বলরামপুর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। গ্রেফতার হয় যোগেন রুহিদাস। গত ১৭ তারিখে যোগেন জামিনে মুক্তি পান।
অভিযোগ, এরপর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদী রাজু রুহিদাসকে হুমকি দিচ্ছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা রফিক আনসারি ও তার দলবল। বৃহস্পতিবার রাত্রে বলরামপুর শহরের গোপ হোটেলের কাছে রাজু রুহিদাসকে একা পেয়ে অভিযুক্তরা সদলবলে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশগঢ় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে পুরুল্যা গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মারধরের ঘটনাটি স্থানীয় বলরামপুর থানায় জানানো হয়েছে , কিন্তু পুরুলিয়া সদরে থাকায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে পারেনি আক্রান্ত যুবকের পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগকারী পরিবারের সাথে বিজেপির যোগ রয়েছে। তাই এই ধরনের অভিযোগ করছে। যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে পুলিশ আছে, আইন আছে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
অন্যদিকে বিজেপি এই ঘটনাটিকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন।এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের কিছু নেতা ও বলরামপুর থানা দায়ী।সনাতনী পরিবারের সঙ্গে আমরা আছি।যদি পরিবারের কোনো অভিযোগ না নেওয়া হয় তাহলে থানা ঘেরাও করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।