মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভের কাজ করার জন্য দরকার ছিল একটা দু’চাকার গাড়ি। কিন্তু পকেটে ছিল না টাকা। তাই চড়া সুদে এলাকারই এক যুবকের কাছ থেকে ৩৫,০০০ টাকা ধার করেছিলেন এক যুবক। প্রাণ দিয়ে তার সুদ মেটাতে হল তাঁকে। সোমবার রাতে বারাসতের প্রমোদনগরের বাসিন্দা ভজন বিশ্বাস (২৬)। নিহতের সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের হুমকি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মৃতের পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর কাছ থেকে মোটা সুদে ৩৫,০০০ টাকা ধার নিয়ে একটি স্কুটার কেনেন ওই ভজন বিশ্বাস নামে ওই যুবক। ঋণের কিস্তি হিসাবে প্রতিদিন ৪৫০ টাকা গুণতে হত তাঁকে। কিন্তু লকডাউনে কাজ চলে যাওয়ায় কিস্তি মেটাতে পারছিলেন না তিনি।
অভিযোগ, সেজন্য মহাজন ও তাঁর শাগরেদরা যুবককে নানা ভাবে হেনস্থা করছিলেন। প্রথমে তাঁর স্কুটারটি কেড়ে নেওয়া হয়। তার পর তাঁর সাইকেল ও মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় তারা। তাঁর মায়ের নামে অশ্লীল গালিগালাজ করে দুষ্কৃতীরা। এমনকী খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। লাগাতার হুমকিতে ভেঙে পড়ে সোমবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ভজন।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইট নোট। তাতে তাঁর আত্মহত্যার কারণ সবিস্তারে লিখে গিয়েছেন যুবক। সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে টাইসন, যুগল ও প্রবীর নামে স্থানীয় ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে বারাসত থানার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।