লকডাউনে কাজ হারিয়ে কটু কেটে বিক্রি করে চলছিল দিন। চরম সঙ্কটে শোধ করতে পারেননি ঋণের কিস্তি। তার জেরে আর্থিক সংস্থার চরম হেনস্থার মুখে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার ফতুল্লাপুরের। নিহত প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বুধবার সকালে।
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৩০,০০০ টাকা ঋণ নেন প্রবীর। সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিল তাঁর। এর মধ্যে লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁর কাজ চলে যায়। ফলে ঋণের কিস্তি আর দিতে পারেননি যুবক।
এর জেরে শুরু হয় আর্থিক সংস্থার অত্যাচার। অভিযোগ, ফোনে নানা কুকথা বলতে থাকেন আর্থিক সংস্থার কর্মীরা। সোমবার তাঁকে চরম অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর আত্মঘাতী হন তিনি।
লকডাউনের কাজ হারানোর সম্ভাবনা থাকায় ঋণের সুদের কিস্তি দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তার পরও বহু আর্থিক সংস্থা টাকার জন্য ঋণগ্রাহকদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ। প্রবীরের মৃত্যুতে সেই আর্থিক সংস্থাকেই দুষছেন পরিজন ও প্রতিবেশীরা।