বাইক আরোহী যুবকের রহস্যমৃত্যুতে খুনের অভিযোগ দায়ের করল পরিবার। নিহতের নাম সুমন মাঝি। বুধবার রাতে হুগলির পোলবায় দিল্লি রোডের পাশ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার কলকাতার SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ নিহত যুবকের বন্ধু। তাতেই দানা বেঁধেছে রহস্য।
পরিবারের দাবি, বুধবার বন্ধু হাবুলের সঙ্গে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরোন চন্দননগরের বাসিন্দা সুমন। রাত বাড়লেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। গভীর রাতে পুলিশ জানায় দিল্লি রোডের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তাঁকে। এর পর তাঁকে SSKM এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই মৃত্যু হয় সুমনের।
পুলিশের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লি রোডের পাশে একটি পানশালায় গিয়েছিলেন সুমন। সেখান থেকে বেরিয়ে দিল্লি রোড ধরে বাড়ি ফেরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে সে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন যুবক।
পরিবারের দাবি, সুমনের গায়ে যে সব আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে তা দুর্ঘটনার ফলে হওয়া সম্ভব নয়। যুবকের পেটে চিরে যাওয়ার মতো দাগ রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনার পর থেকে বন্ধু হাবুলের খোঁজ নেই। পানশালায় সুমনের সঙ্গে হাবুলের বচসা হয়েছিল বলেও দাবি পরিবারের। এই সব তথ্য জানিয়ে চন্দননগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। যদিও দুর্ঘটনাতেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছেন চিকিৎসক।