রাজ্য সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ভরসায় MBA পড়তে গিয়ে বিপাকে সিউড়ির এক ছাত্র। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে তাঁর ঋণের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিউড়ির বাসিন্দা অমিতাভ মোহন্ত। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ঘুরিয়ে দাদুকে গ্যারান্টার হিসাবে সই করিয়েও ঋণ দেয়নি ব্যাঙ্ক। ফলে পরিবারকে ধার করে কলেজের ফিজ মেটাতে হয়েছে।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজের MBA-র ছাত্র অমিতাভ জানিয়েছেন, ১৬ নভেম্বর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। ১৮ ডিসেম্বর তাঁর হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের নথি হস্তান্ত করেন বীরভূমের জেলাশাসক। সেই নথি নিয়ে সিউড়িতে ইউকো ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় স্টুডেন্ট লোনের আবেদন করেন তিনি। অভিযোগ, ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের জানানো হয় ঋণ পাওয়া যাবে না।
অমিতাভর বাবা পেশায় বাসের কনডাক্টর। মা অসুস্থ। অভিযোগ, ঋণের জন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁদের। সরকার ঋণের গ্যারান্টার হলেও তাঁর দাদুকে দিয়ে গ্যারান্টার হিসাবে নথিতে সই করানো হয়েছে। এমনকী মাধ্যমিকের নম্বর কম থাকায় চাওয়া হয়েছে অসুস্থতার প্রমাণ। এত কিছুর পরেও ঋণ না পেয়ে হতাশ অমিতাভর প্রশ্ন। সরকার নিজে যখন সুরক্ষা দিচ্ছে তখন কেন ঋণ দিচ্ছে না রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। তাহলে কী ভাল এসব কার্ড বিলি করে?
ছেলের পড়াশুনো জারি রাখতে প্রথম বর্ষের কলেজের ফিজ বাবদ প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা ঋণ করে জমা দিয়েছেন অমিতাভের বাবা। টাকা কী করে শোধ করবেন তা ভেবে মাথায় হাত পরিবারের।