আগামী দু'তিন দিনের মধ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হতে পারে। সেই রদবদলে তারুণ্যের উপর জোর দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। দু'দিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠক করেছেন প্রশান্ত কিশোর। এই বৈঠকের পরেই যুবকদের সাংগঠনিক স্তরে উঠে আসার কথা শোনা যাচ্ছে।
সম্প্রতি দলের মধ্যে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হয়েছে। এই নীতি চালু হওয়ার ফলে একজন মন্ত্রীকে দলীয় পদে রাখা হয় না। ফলে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের গুরুত্ব কমতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক যুবকরা সংগঠনের বিভিন্ন পদে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচন আর তিন বছর বাকি, তাই এখন থেকে জেলা সংগঠনকে লোকসভা বিন্যাসে ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসত, বনগাঁ, দমদম, ব্যারাকপুর কেন্দ্র-সহ আরও অনেক কেন্দ্র আছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এভাবে সাংগঠনিক স্তরকে ঢেলে সাজাতে চলেছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুলাই এবার ভার্চুয়ালি পালন করতে চলেছে তৃণমূল। ব্লকে ব্লকে যাতে এই শহিদ দিবস পালন করা হয়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে। আশা করা হচ্ছে, শহিদ দিবসে তৃণমূল নেত্রীর ভা্যণে দলে যুবকদের এগিয়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে প্রতিফলন থাকবে। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, দলে তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন রদবদলে দলে এখন কোন কোন যুব নেতারা দলের প্রথম সারিতে উঠে আসে এখন সেটাই দেখার।