চলছে উৎসবের মরশুম। তার আগে, বাংলা ওড়িশায় আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন দানা। দানার দাপটে অঝোর বর্ষণে ভিজেছে রাজ্যের বহু জেলা। সমীক্ষা বলছে, রাজ্যের ৯ জেলায় দানার জেরে বৃষ্টিতে ১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসলে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের কৃষি দফতরের প্রাথমিক সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
সাইক্লোন দানার জেরে দুর্যোগের বৃষ্টি হয়েছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর সহ রাজ্যের বহু জেলায়। ৯ জেলায় ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। স্বভাবতই কালীপুজোর আগে কৃষকদের মাথায় হাত! কৃষি দফতরের সমীক্ষা বলছে, শুধুমাত্র পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সেখানের ২০ হাজার হেক্টর জমি জলমগ্ন। এর মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আমন ধান। হাওয়ার দাপটে বহু জমিতে নুইয়ে পড়েছে ধানগাছ। তার ওপর প্রবল বর্ষণে জল জমে তাতে ক্ষতি করছে। এদিকে, সমীক্ষা বলছে, ৩০০০ হেক্টর জমিতে যে পানচাষ, ফুল,সবজি চাষ হয়েছিল তাও বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। বহু এলাকায় ভেসে গিয়েছে মাছের ভেড়ি, পুকুর। ধান ও মাছ দুই ক্ষেত্রেও প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। নবান্নে আসা তথ্যে এমনই বিষয় উঠে এসেছে। সচিব ওঙ্কারসিং মিনা বিষয়টির তদারকি করছেন। এদিকে, এখনও কৃষি দফতরের পূর্ণ রিপোর্ট আসেনি, ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বহু গ্রামেই রাস্তাঘাট চলে গিয়েছে জলের তলায়। এদিকে, হুগলি জেলা নিয়ে সমীক্ষা বলছে, জেলার ১২ হাজার হেক্টর জমির ধানের বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। হাওড়া গ্রামীণেও চাষবাসের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। ফুলচাষের ক্ষতি হয়েছে বাগনান, দেউলটিতে। জল জমে এগুলিতে ফসল পচে গিয়েছে। এদিকে, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষকজজের করুণ পরিস্থিতি। রাজ্যের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্যবিমান আবেদনের মেয়াদ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ থেকে যাতে কৃষকরা বঞ্চিত না হন, তার সাফ বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।