রাজ্যে আবারও শুটআউট! আবারও মৃত্যু! এবারের ঘটনাস্থল ডানকুনি। শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় গুলি চলল ডানকুনির দিল্লি রোড সংলগ্ন এলাকায়। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় যে যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবকের নাম বান্টি সাউ। তিনি আর্থ মুভার (জেসিবি) চালাতেন বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং পুলিশ সূত্রে যে খবর সামনে এসেছে, সেই অনুসারে - নিহত বান্টি সাউ ডানকুনিরই বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর বাড়ি বন্দের বিল এলাকায়। তাঁর বাবা রাজকুমার সাউকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য়ান্য দিনের মতোই শুক্রবার সন্ধ্য়ায় কাজ সেরে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন বান্টি। তখন মোটামুটি সন্ধে সাড়ে ছ'টা হবে। সেই সময়েই তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়।
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বান্টিকে খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। গুলি সম্ভবত তাঁর বুকের বাঁদিকে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে রাস্তায় পড়ে যান বান্টি। এর মধ্য়ে দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের লোকজন।
এর কিছুক্ষণ পর অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন এগিয়ে আসেন। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর রক্তাক্ত বান্টিকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, ওই যুবককে বাঁচানো যায়নি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গোটা ঘটনায় একদিকে যেমন শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন বান্টির বাবা, তেমনই তিনি অবাকও হয়েছেন। কারণ, তিনি অন্তত বান্টির সঙ্গে কারও এমন শত্রুতা থাকার কথা জানেন না, যার জন্য অকালে তাঁর ছেলেকে এভাবে শেষ করে দেওয়া হতে পারে!
এদিকে, ঠিক কতজন দুষ্কৃতী যে এদিনের শুটআউটের সঙ্গে যুক্ত, সেটাও স্পষ্ট নয়। তাই আপাতত এলাকার সিসিটিভি ফুটেজগুলি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। যাতে হামলাকারীদের সংখ্য়া এবং তাদের পরিচয় জানা যায়। যদিও একটি সূত্র বলছে, হামলাকারীরা বাইকে করে এসেছিল। এই দাবিও পুলিশ যাচাই করতে দেখছে।
ভরসন্ধ্য়ায় এমন ঘটনা ঘটার পর স্বাভাবিকভাবেই গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। তারই মধ্য়ে ছেলের খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং খুনির শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বান্টির বাবা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিনে দেখে এসেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশের বক্তব্য, শীঘ্রই আততায়ীদের চিহ্নিত করে আইন অনুসারে পদক্ষেপ করা হবে।