উত্তর ২৪ পরগনায় পরিবহণ ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। বারাসত থেকে বনগাঁ যাতায়াত এবার আরও সহজ ও দ্রুত হবে। তৈরি হতে চলেছে নতুন ফ্লাইওভার। সাধারণত এই দূরত্ব পেরোতে যেখানে প্রায় দু’ঘণ্টা লেগে যায়, সেখানে উড়ালপুল হয়ে গেলে সময় নামবে নেমে আসবে মাত্র ৪০ মিনিটে। এরফলে ব্যাপক সুবিধা হবে নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: উড়ালপুলের নিচে বসতি-দোকান রুখতে পদক্ষেপ, ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা রাজ্যের
হাবড়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক শুক্রবার স্থানীয় এক কর্মসূচিতে এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ শুরু হবে এই ফ্লাইওভারের কাজ। তাঁর দাবি, বনগাঁ থেকে বারাসত-কাজিপাড়া পর্যন্ত এই প্রকল্প হলে উত্তর ২৪ পরগনার পরিবহণে আমূল পরিবর্তন আসবে। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, সরকার ছোট ছোট উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি বড় প্রকল্পেও জোর দিচ্ছে। বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত ফ্লাইওভার হলে শুধু সাধারণ মানুষের যাতায়াতই দ্রুত হবে না, বরং সীমান্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ এখান দিয়েই পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তগামী গাড়ি যাতায়াত করে।
তিনি আরও জানান, কাজ চলাকালীন অন্তত এক বছর এই রাস্তা আংশিকভাবে বন্ধ রাখতে হতে পারে। সেই কারণে বিকল্প পথের ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসন ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। প্রয়োজনে যদি দোকান বা ঘরবাড়ি ভাঙতে হয়, তবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে সরকার। হাবড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েই এই ঘোষণা করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি সেখানে এলাকার মানুষের ছোট ছোট সমস্যার কথাও শোনেন এবং আশ্বাস দেন আলো, রাস্তা কিংবা ড্রেনেজ, সব ক্ষেত্রেই সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, উত্তর ২৪ পরগনায় বনগাঁ-বারাসত রোডে দীর্ঘদিন ধরেই জ্যাম চিরাচরিত সমস্যা। ফলে এই ফ্লাইওভার তৈরি হলে যেমন মানুষের ভোগান্তি কমবে, তেমনই উন্নত হবে সীমান্ত বাণিজ্যের গতি। অর্থাৎ, উত্তর ২৪ পরগনার জন্য এই প্রকল্প একদিকে যেমন সময় সাশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, অন্যদিকে রাজ্যের অর্থনীতিতেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।