হিমালয়ান গ্রিফন। বিলুপ্তপ্রায় শকুন। হিমালয় ও তিব্বতের পর্বতমালার উঁচু এলাকায় এদের বাস। বনদফতর সূত্রে খবর, বিশাল আকৃতির এই শকুন ক্রমেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে উদ্বেগও রয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই ধরনের শকুন বাঁচানোর জন্য নানা মহল থেকে চেষ্টা চালানো হয়। গত ২৭শে মার্চ সেই শকুনদেরই দেখা মিলেছিল জলপাইগুড়ি জেলার একটি ময়দানে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওরা। সেখান থেকেই ২১টি শকুনকে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল বক্সায়। রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা চলছিল তাদের। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতায় রাজ্য বনদফতর ও বোম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র। মূলত বিলুপ্তপ্রায় শকুন সংরক্ষণের জন্য এই কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছে। শকুন প্রজননের পাশাপাশি এখানে অসুস্থ শকুনদের চিকিৎসাও করা হয়। এই কেন্দ্রেই চিকিৎসা চলছিল অসুস্থ শকুনদের। প্রায় ১৭দিনের মধ্যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে ওরা। এরপরই মঙ্গলবার বিকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের(পশ্চিম) পূর্ব দমনপুর রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় এই শকুনদের। বনাধিকারিক বুদ্ধরাজ দেওয়া ও আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের উপস্থিতিতে মুক্তি দেওয়া হয় শকুনগুলিকে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে আপাতত এগুলি সুস্থ রয়েছে। প্রকৃতির কোলে ওরা ভালোই থাকবে। প্রসঙ্গত গত ৯ই জানুয়ারি এই শকুন প্রজনন কেন্দ্রেই জন্ম নেওয়া ৮টি শকুনকে মুক্ত করা হয়েছিল। তারপর প্রায় মাস তিনেক পর ২১টি হিমালয়ান গ্রিফনকে ছেড়ে দেওয়া হল প্রকৃতির মুক্ত আঙিনায়। এতে যথেষ্ট খুশি বনদফতরের আধিকারিকরা।