সেদিন ছিল সরস্তবতী পুজো। গোটা এলাকা উৎসব মুখর। ঘটনা ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারির। সেই দিন বীরভূমের ইলামবাজারের ধল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলডাঙা গ্রামে একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে যায়। বাড়িতে মেয়েদের নিয়ে শুয়ে ছিলেন মা। আর তাঁকেই বাড়ির ভিতর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের জঙ্গলে পাশবিক অত্যাচার করা হয়। চারজনের অত্যাচারের চলে নারকীয় গণধর্ষণ। যার সাজা হিসাবে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পেল দোষী সাব্যস্ত চারজন।
যে সময়ে এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিন মহিলার স্বামী বাড়ি ছিলেন না। এরপর পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় পরিবার। অভিযুক্তের তালিকায় নাম যায় শুকু হেমরম, সরকার মাড্ডি, মন্ত্রী কিসকু, রবি বেসরার। পুলিশকে ওই নির্যাতিতা জানান, সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্য়ে চারিদিকে বাজছিল মাইক। ফলে তাঁর প্রবল আর্তনাদ তখন আর কারোর কানে পৌঁছয়নি। ততক্ষণে গোটা ঘটনাটি সামনে থেকে দেখে ওই মহিলার ছোট্ট মেয়ে। ঘটনার পর দিন ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ গ্রেফতার করে ওই চারজনকে। এরপর শুরু হয় মামলা।
এরপর আদালতে মোট ১৩ জন সাক্ষী উপস্থিত হয়। তবে সরকারি পক্ষের আইনজীবীর মতে, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল নির্যাতিতার ৮ বছরের মেয়ের সাক্ষ্য। যাবতীয় আইনি পদক্ষেপের পর, অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারপতি সুজয় কুমার সেনগুপ্ত চার দোষীকে ২০ বছরের জেলের সাজা ও ২০ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করেন। এই টাকা না দিতে পারলে আরও ১ বছরের অতিরিক্ত বন্দিদশা কাটাতে হবে দোষীদের। এছাড়াও নির্যাতিতাকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দেওয়াও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।