সন্দেশখালি ইস্যুতো তোলপাড় গোটা রাজ্য। বিরোধীপক্ষের নেতারা সেখানে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করতে গিয়ে পেয়েছেন বাধা। বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁরা সেখানে পরিদর্শন করতে গেলেই বারবার ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। অথচ, শাসকপক্ষের নেতারা গেলে তা হচ্ছে না। সদ্য সোমবার সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে হাইকোর্টে চলা এক মামলায়। এদিকে, সন্দেশখালি ইস্যুতে এই বিষয়টি উঠে আসতেই হাইকোর্টের প্রধানবিচারপতি তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি সাফ জানান, ‘আইন আইনের পথে চলুক’।
সন্দেশখালিতে একাধিক রাজনৈতিক দল পরিস্থিতি পরিদর্শনে যায়। সদ্য তপ্ত এই এলাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে নেতাদের পরিদর্শন ঘিরে প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারির ঘটনাও সামনে আসে। সেই প্রেক্ষিতে এই রাজনৈতিক পরিদর্শন ভালো নাকি মন্দ, তা নিয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয় হাইকোর্টে। সেই সময় এর ভালো মন্দ দিক কী কী হতে পারে তা নিয়ে হাইকোর্চের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সংশয় প্রকাশ করেন। তবে পাশাপাশি তিনি আইনকে আইনের পথে চলার পরামর্শ দেন।
এদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ যে, তাঁদের সফরকালেই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হয়। অন্যদিকে, প্রশাসন সাফ জানিয়েছে, দ্বীপ এলাকার পরিস্থিতি বুঝে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কোর্ট সোমবার তার রায়ে কার্যত সেই বক্তব্যকেই সংর্থন করেছে।
সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হচ্ছে হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য ও প্রধান বিচারপতি চিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার একাধিক ইস্যুতে মামলার শুনানি হয়। সেই সমস্ত শুনানিতে শাহজাহান শেখের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও আসে। কোর্ট সাফ জানিয়েছে, শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। উঠে আসে সন্দেশখালিতে পুলিশ প্রশাসনের অবস্থান নিয়েও নানান ইস্যু। সেই বিষয়েও কোর্ট তার গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পেশ করেছে। সন্দেশখালিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলেছে কোর্ট।
এদিকে, সন্দেশখালিতে ক্রমাগত রাজনৈতিক নেতাদের যাতায়াত নিয়ে প্রসঙ্গ আসে। সন্দেশখালিতে ক্রমাগত যাতায়াত নিয়ে প্রসঙ্গ উঠলে কোর্ট বলে ‘ক্রমাগত মানুষ ওখানে যাচ্ছেন, এরফল ভালোও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে।’ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলছেন, ‘ আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া উচিত।’