বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > HIV Positive Teacher: বিয়ের পরই মাথায় ভেঙে পড়ল আকাশ! এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষককে দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ স্কুলের

HIV Positive Teacher: বিয়ের পরই মাথায় ভেঙে পড়ল আকাশ! এইচআইভি পজিটিভ শিক্ষককে দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ স্কুলের

এইচআইভি পজিটিভ ব্য়ক্তি স্কুলে যোগ দিতেই এল দীর্ঘ ছুটির নির্দেশ। (Depositphotos)

আর চার পাঁচটা বিবাহিত দম্পতির মতোই বিয়ের পর কর্মস্থলে যোগ দেন এইচআইভি পজিটিভ ওই দম্পতি। সদ্য স্বামী হয়ে ওঠা ওই ব্যক্তি পেশায় শিক্ষক। স্কুলে যোগ দিতেই তাঁকে জানানো হয়েছে, ৯০ দিনের জন্য তাঁকে ছুটি নিতে হবে। 

এমন বিয়ে শুধু যে ছকভাঙার দৃষ্টান্ত তা নয়, এমন বিয়ে আরও অনেককেই জীবনের কঠিন সময়ে নতুন ছন্দ বেছে নেওয়ার অনুপ্রেরণাও যোগায়। উত্তর ২৪ পরগনার পাত্রের সঙ্গে মেদিনীপুরের কনের বিয়ের ঘটনা সদ্য কেড়েছে নজর। এইচআইভি পজিটিভ এই পাত্র ও পাত্রী যখন হাতে হাত রেখে বিয়ের মন্ত্রে একসঙ্গে চলার শপথ নিচ্ছিলেন, তখন সেই ছবি মন ছুঁয়ে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। তবে বিয়ের ৫ দিন কাটতে না কাটতেই কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল এই দম্পতির! জটিলতা পাত্রের চাকরি নিয়ে।

আর চার পাঁচটা বিবাহিত দম্পতির মতোই বিয়ের পর কর্মস্থলে যোগ দেন এইচআইভি পজিটিভ ওই দম্পতি। সদ্য স্বামী হয়ে ওঠা ওই ব্যক্তি পেশায় শিক্ষক। স্কুলে যোগ দিতেই তাঁকে জানানো হয়েছে, ৯০ দিনের জন্য তাঁকে ছুটিতে যেতে হবে। তিনি স্কুলে যোগ দিতেই তলব করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেখানে তাঁকে জানানো হয়, তিনি যেন ৯০ দিনের জন্য ছুটিতে চলে যান। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার মতো ঘটনা স্কুলকে লুকিয়ে ওই ব্যক্তি কর্মরত ছিলেন। কর্তৃপক্ষের বার্তা, অসুস্থতা আক্রান্তের থেকে স্কুলে অন্যান্যদের ছড়িয়েছে কি না তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। আর সেই কারণেই এমন নির্দেশ। এদিকে, বিষয়টি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ড.সিদ্ধার্থ নিয়োগী। তাঁর বার্তা বহু সচেতনতা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বারবার মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, এইচআইভি পজিটিভি রোগীর হাত ছুঁলে বা তাঁর পাশে বসলে এই রোগ হয়না, বলছেন ড.নিয়োগী। ( অপ্রাকৃতিক সঙ্গম, যৌনদাস বানিয়ে রাখার অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে! সরব পড়ুয়া)

জানা গিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এইচআইভি পজিটিভ ওই ব্যক্তিকে জানিয়েছে, পড়ুয়াদের পরিবারের তরফে তাঁর স্কুলে পড়ানো নিয়ে আপত্তি আসতে পারে। এদিকে, ‘এইচআইভি এইডস অ্যাক্ট ২০১৭ সালের নিয়ম অনুসারে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার অজুহাতে কাউকে কর্মস্থল থেকে সরানো আইনত সম্ভব নয়’ বলে বার্তা দিচ্ছেন সমাজকর্মী কল্লোল ঘোষ। এদিকে, সৌমিত্রকে ঘিরে যখন এমন মাথায় বাজ পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পরিবারে, তখন তাঁর ঘরনী নিজের কাজে যোগ দিয়েছেন স্বাভাবিক ছন্দে। সদ্য বিবাহিতা ওই মহিলা ‘ক্যাফে পজিটিভ’ নামে একটি ক্যাফেতে কর্মরত। এই ক্যাফেতে যাঁরা কর্মরত, তাঁরা এইচআইভি পজিটিভ। তবে তাঁর স্বামীর সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের আচরণ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল রাজ্যজুড়ে। শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। প্রতিবাদ, ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কলম ধরেছেন অনেকেই।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

বন্ধ করুন