শহর কলকাতায় ফের একবার ভরতপুর গ্যাং-এর কার্যকলাপের আঁচ উঠে আসছে বলে জল্পনা। যে গ্যাং মূলত, সুন্দরী তন্বীর আড়ালে হানিট্র্যাপ চালিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করে থাকে। লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোই এদের উদ্দেশ্য। শোনা যায়, এই ভরতপুর গ্যাংয়ের ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার পিএ অমিত সরকার। যার জেরে তিনি আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হন বলে শোনা যায়। এদিকে নতুন করে শহরে এই গ্যাংয়ের বাড়বাড়ন্তের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর। এবার ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার শহরের এক ব্যাঙ্ক কর্মী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসবে লাস্যময়ী তরুণীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। তাতে ক্লিক করলেই, হানিট্র্যাপের রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায়। এইভাবেই যাদবপুরের এক ব্যাঙ্ককর্মী এমনই এক ফাঁদে পা দেন বলে খবর। এরপরই তিনি পাটুলি থানার দ্বারস্থ হন। ব্যাঙ্ককর্মীর দাবি, তাঁর সঙ্গে ভিডিয়ো চ্যাটে গোপন মুহূর্তের ছবি তুলে তা দিয়ে ব্ল্যাক মেলিং করছে ওই গ্যাং। দাবি করা হয়েছে ৫ লাখ টাকার। এর আগে , ফুলবাগান এলাকাতেও এমন ঘটনার অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন এক চিকিৎসক। অধিকাংস ক্ষেত্রেই যে ব্ল্যাকমেল করছে সে নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করছে। ফলে সহজেই ভয়ে জেরে ফাঁদে পড়ে অসহায় হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এমন ব্ল্যাকমেলিংয়ের প্যাটার্ন দেখে মনে করা হচ্ছে এই কাণ্ড রাজস্থানের কুখ্যাত ভরতপপুর গ্যাং -এর।
উল্লেখ্য, এই ভরতপুর গ্যাং সুন্দরী মহিলাদের ছবি নিয়ে তা ফেসবুকে পোস্ট করে ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে ফেলে। তা থেকে অনেককেই রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। এই ফাঁদে পড়ে অনেকেই বন্ধুত্বের হাতছানিতে পা বাড়ান। এরপর গভীর সম্পর্কের প্রলোভন দেখানো হয়। শুরু হয় সেক্সচ্যাট। এরপর গোপন মুহূর্তের বিভিন্ন ভিডিও রেকর্ডিং দিয়ে শুরু করা হয় ব্ল্যাকমেলিং। এদিকে, শহরে এমন ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।