আরজি কর কাণ্ড ঘিরে রাজ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আন্দোলনকারী ডাক্তার থেকে সাধারণ মানুষ। এদিকে, এরই মধ্যে আরজি কর-এ তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার, গ্রেফতার হন টালা থানার প্রাক্তন ওসি। এদিকে, হাওড়ায় এক পানশালায় মদ্যপ অবস্থায় গোলমাল করার অভিযোগে হাওড়া পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হলেন পুলিশের এক কনস্টেবল সহ এক হোমগার্ড ও সিভিক ভলেন্টিয়ার।
ঘটনাটি রবিবার রাতের। হাওড়ার সাকরাইল থানার অন্তর্গত আলমপুর সংলগ্ন জালান ১ নম্বর গেটের কাছাকাছি ধুলাগড়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে রবিবার রাতে। অভিযোগ, ওই তিন পুলিশকর্মী সেদিন রাতে মদ্যপানের পর হোটেলে বিলের টাকা দেওয়ার সময়ই যাবতীয় অশান্তির সূত্রপাত। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সাঁকরাইল থানার আধিকারিকরা। ৩ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠতেই, পুলিশের বাকি ফোর্স ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হয়েছেন, কনস্টেবল পাঞ্জাব মন্ডল, অস্থায়ী হোমগার্ড বিজয় পাল, সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম কোঙার। এরপর আজ ওই ৩ অভিযুক্তকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, হাওড়ার ভারত হোটেলে এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ক্ষোভে সরব মানুষ। তারই মাঝে আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানান মহলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে, গত শনিবার টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর তাঁর স্ত্রীকেও তলব করে সিবিআই। আরজি করে খুন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের জালে ৩ জন রয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় আগেই গ্রেফতার হয়। পরে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সন্দীপ ঘোষকে এর আগে, আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই। এছাড়াও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করে খুন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। এদিকে, রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা অভিজিৎ মণ্ডলের পাশে রয়েছেন। পুলিশের পদস্থ কর্তারা এদিন গিয়েছিলেন অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে।