মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর মিথ কার্যত ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছে। পরাজিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু বহরমপুরে এই অধীর চৌধুরীর হারকে কিছুতেই মানতে পারছে না কংগ্রেস শিবির। এর আগেই এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন অধীর নিজে। ধর্মীয় মেরুকরণ করে এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এজন্য় তিনি সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
এবার এনিয়ে কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য় করেছেন অধীর। তিনি জানিয়েছেন, মমতা দাঙ্গাবাজ। দাঙ্গা করে আমাকে হারানো হয়েছে। রামনবমী পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তারপর দাঙ্গা করিয়ে ভোটের মেরুকরণ করানো হয়েছে। তথ্য় দিয়ে প্রমাণ দেব। দাঙ্গার কথা প্রকাশ্য়ে বলা বিধায়ক নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি চারবার মুখ্য়মন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। সেই সঙ্গেই তিনি মমতাকে নিশানা করে বলেন, সাহস থাকলে অস্বীকার করুন। সেই সঙ্গেই রাহুল গান্ধীকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। কারণ মোদীর বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীই যে বিকল্প সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। দাবি অধীর চৌধুরীর।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কংগ্রেসের দখলে ছিল অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরীর হাত থেকে বহরমপুর হাতছাড়া হওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস কর্মীরা কিছুটা মন মরা হয়ে যান।
তবে এবার হারের পরেই কার্যত হার নিয়ে কোনও অজুহাতকে সামনে আনতে চাননি তিনি। অধীর জানিয়ে দিয়েছিলেন হেরেছি মানে হেরেছি। আমি কোনও অজুহাত দেব না। ইউসুফ পাঠান বহরমপুরের সাংসদ। আগামীদিন তাঁর চলার পথ সুগম হোক। তাঁকে শুভেচ্ছা রইল।
পরাজিত হওয়ার পরে অধীর বলেছিলেন, 'জেতার জন্য কংগ্রেস এখানে কোনও ত্রুটি করেনি। তবে মানুষ মনে করেছে পরপর পাঁচবার জেতানোর পর এবার আর দরকার নেই। হেরে গিয়েছি। এর আগে মানুষ অনেক আশীর্বাদ ও দোয়া দিয়েছে। ইউসুফ পাঠানকে জয়ের শুভেচ্ছা। তবে আমি স্যান্ডউইচ হয়েছি। এখানে হিন্দু ভোট ভাগ হয়েছে। মুসলিম ভোটও ভাগ হয়েছে। আমি না হিন্দু হতে পেরেছি, না মুসলিম।' অধীর বলেছিলেন, 'রাহুল গান্ধী প্রমাণ করেছেন যে পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।'
তবে এর আগে বাংলার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'ওঁর ঔদ্ধত্যই এর জন্য দায়ী। আর উনি বিজেপির লোক। পাঠানকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ওঁকে আমরা আমন্ত্রণ করেছিলাম। উনি সেটা গ্রহণ করে মর্যাদা দিয়েছেন।' মমতা বলেন, 'আমি কংগ্রেসকে ২টো আসন দিতে চেয়েছিলাম। ওদের কোনও বিধায়ক নেই। তবে সেই ২টো আসনে তারা জিতে যেত। কিন্তু ওরা কথা শোনেনি।'