খড়গপুর আইআইটিতে সদ্য এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড়। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট মৃত পড়ুয়া ফয়জানের মৃত্যু নিয়ে খড়গপুর আইআইটির ডিরেক্টরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন হস্টেল থেকে ওয়ার্ডেনরা ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন আগেই। আদালতের প্রশ্ন, তারপরও কেন ব্যবস্থা নেয়নি আইআইটি কর্তৃপক্ষ? মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর।
হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মন্থার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ব়্যাগিংয়ে যুক্ত সমস্ত পড়ুয়ার নাম কোর্টের কাছে পেশ করার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর ২৩ বছর বয়সী ফয়জানের দেহকে তাঁর হস্টেল রুম থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃত ফয়জান, অসমের বাসিন্দা। আর তাঁর মৃত্যু নিয়ে সরব হন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত বিষয়ে জানতে চান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত অসমের তরফে এই মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠে আসে তৃণমূল শাসিত বাংলায়। এদিকে, আদালত তার রায়ে জানায়,' আদালত জানতে চায়, ব়্যাগিং বন্ধ করতে ওয়ার্ডেন ও প্রতিষ্ঠান কোন কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? আদালতের সামনে যা আসছে, তাতে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনা ব়্যাগিংয়ের।' উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেব্রুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া, আরও একটি ব়্যাগিংয়ের ঘটনা সামনে আনা হয়। আর তা পিটিশনার তুলে ধরেন।
'ডবল ইঞ্জিন' সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বেঙ্গালুরুতে বড় বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
আদালত বলছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যে ব়্যাগিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের তা তাঁরা মানছেন না বলেই মনে হচ্ছে। কোর্ট এও জানিয়েছে, যে খড়গপুরের অধ্যাপক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় খড়গপুরের পুলিশ ইন চার্জের কাছেও ব়্যাগিং ইস্যুতে পরিস্থিতি জানান। যেখানে ক্যাম্পাসে বহু সিনিয়ররা তাঁদের জুনিয়ারদের ওপর প্রবল শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে চলেছে। যদিও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কিছু বলতে চাইছে না, তবে আদালত এই বিষয়ে সাফ তথ্য চেয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এই মৃত্যুর তদন্তে যেন কোনও অংশে খামতি না থাকে। এই বার্তা পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।