মামলা ছিল নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের। অভিযোগ, এক প্রতিবেশী এই ঘটনায় জড়িত। ঘটনায় এই অভিযুক্ত জামিনের জন্য মামলা আসে হাইকোর্টে। সেখানে বিচারপতি কেস ডায়েরি সহ তদন্তের নথি চেয়ে পাঠান পুলিশের কাছে। মামলার সেই নথি দেখেই স্তম্ভিত হয়ে যান বিচারপতিরা। প্রশ্ন উঠতেই পারে কী দেখে স্তম্ভিত হন বিচারপতিরা? সেই তথ্যেই আসা যাক।
যে নথি আদালতে এসেছে, তা দেখে আদালতের ভর্ৎসনা থেকে বাদ যাননি সংশ্লিষ্ট থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসার। কোর্টের বক্তব্য এই দুই অফিসার হাইকোর্টের কাছে নথি চেয়ে পাঠানোর আগে খতিয়ে পড়ে দেখার কাজ টুকুও করেননি। জানা গিয়েছে, নথি দেখে আদালত জানতে পেরেছে, ৭ বছরের এই নাবালিকাকে পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়াই, তার মায়ের সঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তবে আরও আশ্চর্যের ঘটনা হল, নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্টের সঙ্গেই তার মায়েরও ওই একই টেস্ট করেন ফরেন্সিক ডাক্তার। এই ঘটনার জেরে ওই ফরেন্সিক চিকিৎসককে তলব করেছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের তরফে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপূর্ব সিনহা রায়ের বেঞ্চ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে যে, আগামী ৯ ডিসেম্বর ওই চিকিৎসক যেন কোর্টে হাজির হন। নির্দেশের কপি পাঠাতে হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপারকে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এসপি করবেন পরবর্তী পদক্ষেপ।
এই মামলায় নথি দেখে ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, মেডিক্যাল রিপোর্টে রয়েছে অস্পষ্টতা। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চায় আদালত। নথি দেখে আদালত মনে করছে, ওই মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় কোনও মহিলা কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই সমস্ত তথ্য নথি থেকে দেখার পর, ডিভিশন বেঞ্চের নজরে আসে, এই ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় মেয়ের সঙ্গে মায়েরও একই টেস্ট হয়েছে, যেখানে নাবালিকা মেয়ে এই ধর্ষণের শিকার বলে অভিযোগ। আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন আইসি ও তদন্তকারী অফিসার। এই ঘটনায় মায়ের টেস্ট কীভাবে করা হল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। গোটা ঘটনা নিয়ে আগামী ৯ ডিসেম্বরের দিকে তাকিয়ে সব মহল।