ঘটনাস্থল পুরনো মালদার যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানীরগড় এলাকা। সেখানে এক ঘুমন্ত শিশুকে আছাড় মারার অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। মহিলা সম্পর্কে ওই শিশুর জেঠিমা হন। গোটা ঘটনা ভিডিয়োয় ধরা পড়ে। তা ভাইরালও হয়। এরপরই জেঠিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে খুনের চেষ্টার। আপাতত ওই আহত শিশু বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।
এরপর গ্রামের শালিশী সভা ডাকা হয়, সেখানে মহিলাকে গ্রাম ছাড়া করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সংশ্লিষ্ট গ্রামের পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে এই সিদ্ধান্ত আসে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে একটিবার নয়, পর পর কয়েকবার এভাবে ওই শিশুকে আছাড় মারা হয়। প্রশ্ন উঠছে, এমন অমাবনিক ঘটনার নেপথ্য কারণ কী হতে পারে? নিজের বাড়িতে এমন ঘটনায় স্তম্ভিত শ্বাশুড়ি উষারাণী দেবী। ঘটনা কার্যত অবাক করে দিয়েছে এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য অচিন্ত্য বিশ্বাসকে। যদিও তিনি মুখ খোলেননি। এদিকে, জানা গিয়েছে আহত শিশুর মা অপর্ণা বিশ্বাস প্রায়ই লক্ষ্য করতেন যে তাঁর সন্তানের কান দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। কখনও আবার নাক দিয়ে ঝরছে রক্ত। সন্দেহ তখন থেকেই ছিল। 'এমন রাজনীতি দেখে লজ্জা আসে না?' ধর্ষণ ইস্যুতে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তোপ রাহুলের
এখানেই শেষ নয়, অনেকেই অর্পণাকে নানান অশুভ শক্তি নিয়েও নানান পরামর্শ দেন। তবে অপর্ণা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না তাঁর ২ বছরের সন্তান আচমকা কেন কাঁদতে থাকে। অনেকেই অপর্ণকাে ঝাড়ফুক করার পরামর্শ দেন। এদিকে নাতির কান্নার আওয়াজে বাড়িতে ঠাকুমা উষারাণী দেবী চমকে উঠতেন। ছুটে গিয়ে দেখা যেত ২ বছরের শিশুর মুখে লেগে রয়েছে রক্ত। বোঝা যেত না কারণ। তবে সন্দেহ হতে থাকে অপর্ণার। তখনই ক্যামেরা বন্দি হয় এই ঘটনা। গোটা ঘটনায় লিখিত কোনও অভিযোগ পেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।