কোভিড অতিমারীর পর‘নাটকীয়’ ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের খুচরো ব্যবসা। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সঙ্গে করে আরও গতিশীল হয়েছে এই ক্ষেত্র। কেনাকাটার পর ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমগুলি। ভারতের শীর্ষস্থানীয় খুচরো ব্যবসায়ীদের আলোচনায় এমনই মত উঠে এল।
শুক্রবার পার্ক হোটেল রিটেইলার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (RAI) আয়োজন করেছিল ‘কলকাতা রিটেইল সামিট (KRS)২০২২’-এর। এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় খুচরো ব্যবসায়ীরা। আলোচনায় সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজু কুরিয়েন বলেন,‘গত দুই বছরে খুচরোব্যবসা নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। বিক্রেতারা দোকানের ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করে ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তাঁদের খুচরা ব্যবসায়কে আরও ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। আজ,খুচরো ব্যবসা শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে।’
কার্যত একই মত প্রকাশ করে সংগঠনের সিইওকুমার রাজাগোপালান বলেন,‘ভারতে খুচরো ব্যবসা মহামারীর পরে দ্রুত গতিতে বিকশিত হচ্ছে। প্রাক-মহামারী স্তরের তুলনায় পূর্বাঞ্চলে এই ব্যবসা প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং খুচরো ব্যবসায়ীরা এখানে আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুঁজছেন।’তাঁর মতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যেও চাহিদা বাড়ছে।

এই আলোচনায় স্পেন্সার্স রিটেইল লিমিটেডের সেক্টর হেড শাশ্বত গোয়েঙ্কা বলেন ডিজিটাল মাধ্যম কেনাকেটার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আরও সক্রিয় করেছে। তাঁর কথায়,‘আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে কী ভাবে নির্দিষ্ট ক্রেতাদের পরিষেবা দিতে হয় সে সম্পর্কে। ক্রেতাদের প্রোডাক্ট সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নের তাত্ক্ষণিক উত্তর প্রয়োজন। আমরা যদি ক্রেতাদের সেই উত্তর দিতে পারি তাহলেই আমরা তাঁদের চাহিদা পূরণ করতে পারব। তৎপরতা এবং নমনীয়তা খুচরো বিক্রেতাদের মূল কাজ হওয়া উচিত।’ এই আলোচনা সভায় অতিমারী পরবর্তী খুচরো ব্যবসার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়।
এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান,হর্ষবর্ধন নেওটিয়া,সেনকো গোল্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরশুভঙ্কর সেন।