পাহাড়ে খুনের ঘটনা ঘিরে গতমাসেই চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিম্পং-এ। গত ১৮ ডিসেম্বর তাশিডিং বস্তিতে রক্তস্নাত অবস্থাতে পাওয়া যায় ষাটোর্ধ খর্গ বাহাদুর ছেত্রী ও ৪৫ বছর বয়সী তাঁর স্ত্রী বিষ্ণু ছেত্রীকে। রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চমকে ওঠেন কালিম্পংয়ের তাশিদিং বস্তির বাসিন্দারা। দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। এরপর সেই ঘটনার এক মাসের মধ্যেই ঘটনার কিনারা করে ফেলে পুলিশ।
এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তি সোমবার ধরা পড়ে কালিম্পং-এ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতেই সে নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ধৃত কৃষ্ণপ্রধান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। তানকা নামে পরিচিত এই ব্যক্তি চুরি করতে ২৬ ডিসেম্বর রাতে ছেত্রী পরিবারের বাড়িতে হানা দেয়। এদিকে, সেই রাতে কৃষ্ণের চুরি হাতেনাতে ধরে ফেলে ছেত্রী দম্পতি। এরপর তাঁদের হাত থেকে রেহাই পেতেই খুন বলে জানিয়েছে ধৃত। পুলিশি জেরার মুখে কৃষ্ণ প্রধান জানিয়েছে, নেশার টাকা জোগাতেই সেই রাতে চুরি করতে যায় সে।
এদিকে, পুলিশের তরফে কালিম্পং এর সুপারিন্টেডেন্ট হরিকৃষ্ণ পাই জানিয়েছেন, ধৃত কৃষ্ণ বহুদিন ধরে মাদকাসক্ত রয়েছে। চুরে করে তা বিক্রি করে মাদকসের নেশার টাকা যোগানোর উদ্দেশেই সেই রাতে ছেত্রী দম্পতির বাড়ি যায় সে। এদিকে, গত ডিসেম্বরের সেই ঘটনা ঘিরে কালিম্পং -এ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ছেত্রী দম্পতির প্রতিবেশীরা এখনও আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক স্থানীয়।