দলেরই মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সদ্য জনসমক্ষে সরব হয়ে তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য তিনি বলেছেন,' দিদি আছে বলে আছি, না হলে থাকতে ইচ্ছে করে না। দিদির সঙ্গে কয়েকজন মন্ত্রী থাকেন। যাঁদের হাবভাব দেখলে দলে থাকতে ইচ্ছে করে না।' এরপরই সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি পাল্টা মন্তব্য আসে মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের তরফে। তারপর গোটা পর্ব নিয়ে সদ্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একটি বক্তব্য রেখে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেন। যা ঘিরেও বঙ্গ রাজনীতিতে বেশ কিছুটা চাঞ্চল্য দেখা যায়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য শুনে রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমাকে যদি বলে আমার চালচলন দেখলে, তাঁর দলে থাকতে ইচ্ছে করে না, তখন আমি দল ছেড়ে দেব। আমার চালচালনে যদি খারাপ লাগে বা অন্য কেউ যদি প্রভাবিত হয় তাহলে আমি থাকব না। আমি নিজেকে সংযত বলে মনে করি। মাটির সঙ্গে চলি।’ সেই ঘটনার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্য একটি পোস্টে লেখেন,' আমি বুঝতে পেরেছি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য নেতারা আমার মন্তব্যে বিরক্ত হয়েছেন, যা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।' এরই সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা,' শোভনদেবদা এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি দুঃখিত তাঁদের কোনও আঘাত করে থাকলে, তবে, কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে আমার অভিযোগ থাকলেও আমি গঠনমূলকভাবে তা দলের মধ্যে প্রকাশ করব।'
প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন শ্রীরামপুরের সাংসদ দলীয় মন্ত্রীদের নিয়ে ওই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন? শুধু মন্তব্য করেছেন, তাই নয়, তারপরও যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তিনি করেছেন, সেখানে নাম না করে কয়েকজন মন্ত্রীর কথা তিনি সাফাসাফি উল্লেখ করেছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য রয়েছে। তাঁরা কারা? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। কল্যাণের এই বক্তব্যে দলে কি ফের একবার অস্বস্তি বাড়ল? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও দলের নেতাদের কাজকর্ম তথা নানা পদক্ষেপ এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। এদিকে, সদ্য সদ্য ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এই নতুন মন্তব্যে বাংলার রাজনীতিতে ঝড় উঠেছিল। তবে তারপরও মেজাজ ধরে রেখেই নয়া সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট উঠে আসে কল্যাণের তরফে।