KLO নেটওয়ার্ক কি ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে! ডেরা পোক্ত করতে টার্গেটে যুব সমাজ, নজর গোয়েন্দাদের

অর্গানাইজেশনের নেটওয়ার্ক একইসঙ্গে একটি অপরাধের নেটওয়ার্ক চক্র গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই নেটওয়ার্কের দুই সদস্য অবিনাশ রায় ও মৃণাল বর্মণকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের হাতে একাধিক তথ্য এসেছে। জানা গিয়েছে, পুলিশি জেরার মুখে তারা বলেছে, অস্ত্র পাচারকালে যদি তারা ধরা না পড়ত, তাহলে আরও বেশ কয়েকবার অস্ত্রপাচারের পরিকল্পনা ছিল তাদের অসমে।

কেএলও বিচ্ছিন্নতাবাদী (ফাইল ছবি)।

উদ্দেশ্য ছিল বিহার থেকে অস্ত্র আমদানি করে তা অসমে পৌঁছে দেওয়া। অসমের কেএলও ডেরাকে আরও শক্ত করতেই এমন উদ্যোগ। এক জনপ্রিয় বাংলা দৈনিকের খবর অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে সদ্য ধরা পড়েছে ২ কেএলও সদস্য। কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের এই দুই ধৃত জঙ্গির কাছ থেকে কেএলও সম্পর্কে একাধিক হাড়হিম করা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের, ফোকাস বাড়িয়েছে গোয়েন্দাবিভাগ।

উত্তরবঙ্গের বুকে কি ধীরে ধীরে জাল আরও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে কেএলও জঙ্গিরা? এই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে সাম্প্রতিক কয়েকটি তথ্য, যা পুলিশের হাতে এসেছে। গোয়েন্দাসূত্রের খবর, নতুন প্রজন্মের যুবক যুবতীদের সংগঠনের দিকে টানতে শুরু করেছে কেএলও জঙ্গিরা। এই জঙ্গি সংগঠনের তরফে অনলাইন মারফৎ যুবক যুবতীদের নিজের দিকে টানতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, নয়া প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের বিভিন্ন পদ্ধতিতে চলছে 'ব্রেন ওয়াশ'। শুধু তাই নয়, একইসঙ্গে চলছে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের চক্রও। কামতাপুর লিবারেশন

অর্গানাইজেশনের নেটওয়ার্ক একইসঙ্গে একটি অপরাধের নেটওয়ার্ক চক্র গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই নেটওয়ার্কের দুই সদস্য অবিনাশ রায় ও মৃণাল বর্মণকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের হাতে একাধিক তথ্য এসেছে। জানা গিয়েছে, পুলিশি জেরার মুখে তারা বলেছে, অস্ত্র পাচারকালে যদি তারা ধরা না পড়ত, তাহলে আরও বেশ কয়েকবার অস্ত্রপাচারের পরিকল্পনা ছিল তাদের অসমে। অস্ত্রের জন্য বহু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলাবাজিও তারা চালিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, পশ্চিমভারত থেকে উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র আমদানির পরিকল্পনা ছিল তাদের। উল্লেখ্য, ধৃতদের সঙ্গে কেএলওর প্রধান জীবন সিংহের ঘনিষ্ঠ পাভেলের যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে, যুব সমাজের কাছে আরও বেশি করে কেএলওর আদর্শকে পৌঁছে দিতে তৎপরতা নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের বিস্তারে যে ছক দেখা গিয়েছে, সেই একই ছকে রয়েছে কেএলও। তারাও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মতো, অনলাইনে জড়ো করতে শুরু করেছে সদস্যদের। তরুণ তরুণীদের মস্তিষ্কে কেএলওর আদর্শ আরও বেশি করে গেঁথে দিতে নানা বঞ্চনার কথাও তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের ভাবধারা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা তুলে ধরছেন কেএল প্রধান, আর তাঁর সেই বক্তৃতা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, এভাবে আপাতত ১০ জনকে প্রভাবিত করতে পেরেছে কেএলও। তাদের পরবর্তী প্রক্রিয়ায় দিকে নজর রয়েছে রাজ্যের গোয়েন্দাদের।