বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > জঙ্গল সাফ হয়নি?জেলও হতে পারে! ডেঙ্গির বাড়াবাড়ির মধ্যে নয়া আইনের ভাবনা: রিপোর্ট

জঙ্গল সাফ হয়নি?জেলও হতে পারে! ডেঙ্গির বাড়াবাড়ির মধ্যে নয়া আইনের ভাবনা: রিপোর্ট

প্রতীকী ছবি: এএনআই (ANI)

Dengue: এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। আর তাতে বর্তমান পৌর আইনে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি। এই সংশোধনের মাধ্যমে আগামিদিনে এমন জমি মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে পুরসভা। ডেঙ্গি মশা নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ।

বাড়ির লাগোয়া জমি ফেলে রেখেছেন। তাতে ভর্তি জঙ্গল। কার্যত আবর্জনা ফেলে রাখার জায়গা বানিয়ে দিয়েছেন। এমনটাই যদি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সাবধান। কারণ আগামিদিনে, এমনটা করার জন্য হতে পারে হাজতবাসও। এমনই কড়া আইন আনার বিষয়ে আলোচনা করছে কলকাতা পুরসভা। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে এটাই দাওয়াই KMC-র।

বুধবার এই পরিকল্পনার কথা জানান খোদ শহরের মেয়র, ফিরহাদ হাকিম। TOI-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিষয়ে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। আর তাতে বর্তমান পুর আইনে পরিবর্তন আনতে চাইছেন তিনি। এই সংশোধনের মাধ্যমে আগামিদিনে এমন জমি মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে পুরসভা। আরও পড়ুন: Dengue: ভরসা শীত, তবু ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে ২১ নভেম্বর বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রথমে অবশ্য জমি মালিককে নোটিশ পাঠাবেন পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তাতে তাঁদের দ্রুত জঙ্গল, আবর্জনা সাফ করে ফেলতে বলা হবে। জমি মালিক যদি তাতে কর্ণপাত না করেন, তখন পুরসভার দলই এসে সেই কাজ করবে। তবে সেটি বিনামূল্যে নয়। এই সাফাই অভিযানের টাকা যাবে জমি মালিকেরই পকেট থেকে। প্রপার্টি ট্যাক্সের বিলে যোগ হবে সেই অঙ্ক।

তবে এখানেই শেষ নয়। এরপরেও আপনার জমির দিকে নজরদারি চালানো হবে। যদি দেখা যায় ফের আগের মতোই জঙ্গল-আবর্জনা বানিয়ে রেখে দিচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে 'অ্যাকশান' নেওয়া হবে। তবে এবার আর 'বাবা-বাছা' করা হবে না। সোজা আদালতে জমি মালিকের নামে মামলা করা হবে। এর ফলে মোটা টাকা জরিমানা, এমনকি হাজতবাসও হতে পারে।

তাই আবর্জনা, জঙ্গল থাকলে তা সাফ করিয়ে নেওয়াই শ্রেয়। একটু সাফসুতরো থাকলে যদি হাজতবাস এড়ানো যায়, তাহলে ক্ষতি কী?

ফিরহাদ হাকিম বিষয়টি ব্যাখা করে বলেন, 'দক্ষিণ কলকাতায় বহু স্থানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক ফাঁকা জমি অপরিষ্কার অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।'

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ৭৫% ডেঙ্গিই হচ্ছে টালিগঞ্জ, যাদবপুর, বাঘাযতীন, সন্তোষপুর, কালিকাপুর, কসবা, গড়ফা, পাটুলি এবং ইএম বাইপাস সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এদিকে উত্তর কলকাতায় এমন অব্যবহৃত জমির সংখ্যা কম। ফলে সেখানে ডেঙ্গির কেসও তুলনামূলকভাবে কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরও পড়ুন: শিশুদের জ্বর হলেই দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন, ফেলে রাখবেন না

শুধু তাই নয়, বেহালা, যাদবপুর এবং বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু ডোবা, জলাজমি, খাল, বড় নালা রয়েছে। এগুলির কারণে আরও বেশি ডেঙ্গি মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বন্ধ করুন