কলকাতার রিজেন্ট কলোনিতে জামাইবাবুকে খুন করে তিন দিন বরফ চাপা দিয়ে রেখেছিল শ্যালক। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রমোটিং নিয়ে বিবাদের জেরে জামাইবাবু সমীররঞ্জন শূরকে খুন করেছেন শ্যালক বিশ্বনাথ সাহা। অভিযুক্ত শ্যালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে তাঁর দাবি, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সমীররঞ্জন শূর নামে ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধের।
মঙ্গলবার ৩৫ই রিজেন্ট কলোনি থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ সমীররঞ্জন শূরের দেহ। ঘরের ভিতর বিছানায় শোয়ানো ছিল বৃদ্ধের দেহ। চারিদিকে ছড়ানো ছিল বরফ। সমীরবাবুর শ্যালক বিশ্বনাথ সাহাকে বাড়িতে বরফ নিয়ে ঢুকতে দেকে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, ৩ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে সমীরবাবুর। যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, খুন করা হয়েছে বৃদ্ধকে।
রিজেন্ট কলোনির ওই বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন সমীররঞ্জন শূর। ছয় দিন আগে হিমাচল প্রদেশ বেড়াতে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। তার পর থেকে রোজ সমীরবাবুকে খাবার দিয়ে যেতেন তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ সাহা। প্রতিবেশীদের দাবি, দিন তিনেক আগে বাড়ির পাশে সমীরবাবুর বিছানার তোষক দেখতে পান তাঁরা। অনুমান তার আগেই মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধর।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, রিজেন্ট কলোনির ওই দোতলা বাড়িটি প্রমোটিং করাতে চাইছিলেন সমীরবাবুর শ্যালক। এই নিয়ে বিবাদের জেরে স্ত্রী ও মেয়ের কাছে রোজ মার খেতে হত সমীরবাবুকে। সেকারণেই সমীরবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বনাথবাবু। এমনকী সমীরবাবুর ডেথ সার্টিফিকেটও দেখিয়েছেন তিনি। তাতে অপুষ্টিই মৃত্যুর কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, স্ত্রী – কন্যা বাইরে থাকায় নিজের উদ্যোগে দেহটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছিলেন তিনি।
রিজেন্ট পার্ক থানার তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তার পর ঠিক হবে তদন্তের গতিমুখ।