আসন রফার সমীকরণ যাই হোক না কেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বাম – কংগ্রেস জোট প্রায় পাকা। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সরাসরি বামেদের জোটবার্তা দেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। কাকতালীয় ভাবে একই সময় এক টুইটে কংগ্রেসকে জোটবার্তা দেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। যাতে এক প্রকাশ স্পষ্ট, অস্তিত্ব রক্ষায় হাত ধরতে মরিয়া দুদলই।
টুইটে সেলিম লিখেছেন, ‘অধীরবাবুকে শুভেচ্ছা। বিজেপি ও তৃণমূলের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেস আগেও যৌথ কর্মসূচি নিয়েছে, ভবিষ্যতেও নেবে।’
ভিডিয়ো বার্তার সেলিমকে বলতে শোনা যায়, 'মানুষের নানা ইস্যুতে যে লড়াই তাতে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বেড়েছে। আজকে যদি পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হয় তাহলে কংগ্রেস, বাম এবং সমস্ত বামপন্থী শক্তিকে একজোট হতে হবে। বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী ভোট এক জায়গায় করতে হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে যে কোনও কারণেই হোক জোট হয়নি। তাতে রাজ্যের ভাল হয়নি। যে কোনও কারণেই হোক, অর্ধেক অর্ধেক করে বিজেপি আর তৃণমূল ভোট ভাগ করে নিয়েছে। কিন্তু মানুষের বিপদের সময় তাদের দেখা যায়নি। সেলিমের টুইটে উৎসাহিত অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘সেলিম ভাইয়ের টুইট আমায় উৎসাহিত করল, একসঙ্গে লড়ব।’
২০১১-য় ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর থেকেই ক্ষয়রোগে আক্রান্ত সিপিএম। তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর থেকে কংগ্রেসের সমর্থনও কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়ে বাম ও কংগ্রেস। তাতে বামেদের থেকে বেশি আসন পায় কংগ্রেস। এর পর লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের দিকে পাল্লার ঝুল রাখতে গিয়ে কড়া শর্তে দরকষাকষি শুরু করে সিপিএম। যার ফলে শেষ পর্যন্ত আর আসন সমঝোতা হয়নি। শুধুমাত্র ২টি আসনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। ২টি আসনেই জেতে কংগ্রেস। ১টি আসনে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। সেখানে দ্বিতীয় হয়েছে সিপিএম।