আজ বুধবার দিল্লি সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার পরেই গোটা নভেম্বর মাস তিনি শৈলশহর দার্জিলিঙের রাজ ভবনে কাটাবেন।
বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি ফের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং। রাজ্যের শাসকদলের প্রতি তাঁর এই পক্ষপাতিত্ব ঘিরে ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এই পরিস্থিতিতে স্বয়ং রাজ্যপাল টানা একমাস দার্জিলিঙে কাটানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এ দিন দিল্লি সফরে গিয়েছেন ধনখড়। ৩০ অক্টোবর তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। দিল্লিতে ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ধনখড়ের। স্বভাবতই আলোচনায় স্থান পাওয়ার কথা বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
দিল্লি থেকে ফিরে একদিন বিশ্রাম নেওয়ার পরেই ১ নভেম্বর দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা হবে দার্জিলিঙের রাজ ভবন। বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুংয়ের দ্বৈরথে উত্তেজনার পারদ চড়া শৈলশহরে ঠিক এই সময় নিছক ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল, তা মানতে নারাজ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ধনখড়ের এই সিদ্ধান্ত সরাসরি পাহাড়ের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। একদা পাহাড়ি শহরে একছত্র আধিপত্য কায়েম করা গুরং প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ থাকলেও গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে হাতিয়ার করে পর্যায়ক্রমে বিরোধী বিজেপি শিবিরের দিকে ঝুঁকতে থাকেন। শেষে এনডিএ-কে সমর্থন করে তিনি তৃণমূলের সরাসরি বিরোধিতা করলে শাসকদলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
দুর্গাপুজোর আগে অমিত শাহের বাংলা সফরে আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বদলে সফরে আসেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। শোনা যাচ্ছে, সব কিছুঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরে রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে সেই সময় বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সফরে দিল্লি থেকে শাহের কোনও বার্তা নিয়েই দার্জিলিং যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি না রাজ্যপালের, তাই নিয়ে জল্পনায় মশগুল রাজনীতির কারবারিরা।