যোগদান সভায় সুর চড়িয়েছিলেন। তবে বিধানসভায় কোনওরকম বিতর্কে জড়ালেন না শুভেন্দু অধিকারী। বরং জানালেন, নিয়ম মেনেই ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন। আর বিধানসভার স্পিকারেরও তাঁকে তলব করার অধিকার আছে। পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে।
সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ বিধানসভায় আসেন শুভেন্দু। সেই সময় তাঁকে বিধানসভায় তলব করেছিলেন স্পিকার। সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন শুভেন্দু। জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন কিনা, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন স্পিকার। তাতে সায় দিয়েছেন তিনি। বলেন, 'আমি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছি'।
গত ১৬ ডিসেম্বর বিধায়ক হিসেবে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন বিধানসভায় ছিলেন না স্পিকার। পরিবর্তে স্পিকারের সচিবালয় থেকে সেই ইস্তফাপত্র 'রিসিভ' করিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পরে স্পিকার জানিয়েছিলেন, শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র ‘বৈধ’ নয়। তাই তা গৃহীত হয়নি। সেজন্য সোমবার দুুপুর ২ টোর সময় শুভেন্দুকে তলব করেছিলেন। সশরীরের স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিতে হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
তবে তাঁকে ডেকে পাঠানো নিয়ে কোনও 'রাজনীতির ছায়া' বা 'বিতর্ক'-এর পথে হাঁটেননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'আমি কোনও বিতর্কে যাব না। অধ্যক্ষ নিয়ম মেনেই আমায় ডেকেছিলেন। তাঁর অধিকার আছে।' সঙ্গে যোগ করেন, নিয়ম মেনে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। তাতে স্পিকার সন্তুষ্টও হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকার জানান, শুভেন্দুকে সামনা-সামনি প্রশ্ন করেছিলেন। তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন। শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র সঠিক এবং তা স্বেচ্ছায় দেওয়া হয়েছিল বতে সন্তুষ্ট হয়েছেন তিনি। সেজন্য শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে। সেই মোতাবেক সোমবার বিকেল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আর সদস্য থাকলেন না শুভেন্দু। যা নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
এদিকে, শনিবার মেদিনীপুরে বিজেপির জনসভা থেকে অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন শুভেন্দু। খাতায়-কলমে অবশ্য তখনও তিনি তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। তবে সোমবার শুভেন্দু জানান, দেশের 'সাধারণ ভোটার' হিসেবে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই অধিকার দেশের যে কোনও মানুষের আছে।