কিছুদিন আগে মানিকতলায় এক যুবককে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটে। এরপর তাঁর দেহ উদ্ধার হয় অটো থেকে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে তিনজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে জগন্নাথ ওরফে ভিকি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। এন্টালি থানা এলাকায় কর্মরত তিনি। সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়ার সুবাদে নিজের এলাকায় নানাভাবে ক্ষমতা জাহির করত সে। ভিকির আচরণে এলাকার অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিল। ধৃতরা আর কোনও অপরাধে জড়িত আছে কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। মানিকতলার বসাকবাগানে অটোর মধ্যে যুবকের দেহ উদ্ধারের পরই তদন্তে নামে মানিকতলা থানার পুলিশ। এলাকারই বাসিন্দা বান্টি, নিলু, ভিকি সহ আরও বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। শনিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে ভিকি সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবককে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে যাতে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকে। শরীরের অভ্যন্তরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে অভ্যন্তরে আঘাত লাগার ফলেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাততদন্তের রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মোবাইল চোর সন্দেহে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে অমরনাথ প্রসাদ ওরফে পাপ্পুকে পিটিয়ে মারা হয়। এরপর পাপ্পুর দেহ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোর ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। পাপ্পু প্রায়শই নেশাগ্রস্ত থাকত বলে এলাকার বাসিন্দাদেরই অভিমত। তবে তাঁকে এভাবে পিটিয়ে মারা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা।