ইতিমধ্যে ‘বদলা’-র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যে বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই পথে হেঁটে ‘বদলা’-র ‘টার্গেট’ বেঁধে দিলেন বঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়। হুঁশিয়ারি দিলেন, গেরুয়া শিবিরের এক নেতার উপর হামলার ‘বদলা’ নিতে চারজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে টার্গেট করবে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির সহ-সভাপতি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন এবং আমাদের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা কেরালায় একই পরিস্থিতি দেখেছি। যখন (মার্কসবাদীদের হাতে) একের পর এক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিজেপি কর্মীদের খুনের পর তাঁরা প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। প্রত্যেক আরএসএস এবং বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর জন্য ওঁরা চারজনকে টার্গেট করেছিলেন। শনিবারের ঘটনায় যদি উপযুক্ত তদন্ত না হয় এবং দোষীদের গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে আমরা এখানে একই রাস্তা নেব।'
শনিবার মুর্শিদাবাদের বিজেপি সভাপতি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। সেই ঘটনায় কারোর গুরুতর আঘাত না লাগলেও বিস্ফোরণের তীব্রতায় গাড়ির কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন বিশ্বপ্রিয়।
তবে আদতে বিজেপি নেতারা যে ‘শান্তিপ্রিয়’, তা জানাতে ভোলেননি বিজেপির সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যদি লোকজন মনে করেন যে আমাদের লোকেদের উপর হামলা চালানো হবে এবং খুন করা হবে, তা দেখেও আমরা চুপ করে থাকব, তাহলে তাঁরা ভুল ভাবছেন। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। আমরা অবিচারের প্রতিবাদ করি এবং অবিচারকে রুখে দিই। কিন্তু সেটা যদি কাজে না দেয়, তাহলে আমরা অবিচারের প্রতিশোধ নিতে পিছপা হব না। যদি এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে আমাদের উপর প্রতিটি হামলার পরিবর্তে চারজনকে টার্গেট করব আমরা। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা বেছে বেছে জেলা ও রাজ্যের নেতাদের টার্গেট করব। যদি তৃণমূল সেটা সামলাতে পারে, তাহলে তাই করুক।’
তবে বিজেপির সেই হুমকিতে ছিটেফোঁটা পাত্তা দিতে চায়নি তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বিজেপির হুমকির জবাব দেবেন বাংলার মানুষ। তৃণমূলের সাংসদ তথা মুখপাত্র সৌগত রায় বলেন, ‘বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর মাপের একজন নেতা কী কথা বলেছেন, সেটাকে আমি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতেও চাই না। কিন্তু বিজেপি যদি হিংসার পথে যায়, তা সামলাতে তৈরি তৃণমূল। তবে অবশ্যই এটা মনে রাখা উচিত যে রাজ্যে কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। আমার আশা, বিশ্বপ্রিয় যা বলেছেন, তা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নোটবুকে উঠবে।’