মহালয়া সকালে দুর্ঘটনা। তর্পণ করতে যাওয়ার পথে একটি বাসকে ধাক্কা মারল পুণ্যার্থীদের গাড়ি। তার ফলে কমপক্ষে ১০ জন জখম হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের কামারের হাট এলাকায়। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে কাকদ্বীপ হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: সাতসকালে মা উড়ালপুলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বাইক থেকে ছিটকে ৮০ ফুট নিচে পড়ল আরোহী
জানা গিয়েছে, আহতরা সকলেই বারুইপুরের চম্পাহাটির বাসিন্দা। তর্পণ করার উদ্দেশ্যে তারা যাচ্ছিলেন। এদিকে, সকাল থেকেই এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই অবস্থায় রাস্তায় দৃশ্যমানতা কম ছিল। তার জেরে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি বাসকে সজোরে ধাক্কা মারে। তারপরে রাস্তার ধারে থাকা একটি পোলে ধাক্কা মারে পুণ্যার্থীবোঝাই গাড়িটি। এদিকে বাসটিও রাস্তার পাশে একটি ঝোপে নেমে যায়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ। এরপর একে একে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, আজ বুধবার ভোর থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে মুষলধারে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। তারইমধ্যে মহালয়ায় তর্পণ চলেছে গঙ্গাসাগর, কাকদ্বীপ ডায়মন্ড হারবার ও ফলতার নদী ঘাটে। তর্পণকে কেন্দ্র করে সেখানে প্রচুর পুণ্যার্থীদের ভিড় হয়। সেই ভিড় সামাল দিতে ব্লক প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঘাটগুলিতে। এছাড়াও পুণ্যার্থীদের সুবিধা অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
এদিকে মহালয়ার সকালে আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে মহানগরীতে। কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে জেসিবির ধাক্কায় মৃত হয়েছে এক পড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীতে। এই ঘটনায় উৎসবের শুরুতেই বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র দীনেশ নগরের ১১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ছাত্রের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এলাকার মানুষজন বলছেন যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে ক'দিন ধরে রাস্তা মেরামতের কাজ চলছিল। এই অবস্থায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জেসিবি ধাক্কা মারে ছাত্রকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। এরপরই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। জেসিবি ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।