বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > আমি থাকলে বিচারপতি গাঙ্গুলিকে আরও ১০ প্রশ্ন করতাম! ভাবা প্র্যাকটিস শুরু দেবাংশুর

আমি থাকলে বিচারপতি গাঙ্গুলিকে আরও ১০ প্রশ্ন করতাম! ভাবা প্র্যাকটিস শুরু দেবাংশুর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)

ভাবো, ভাবা প্র্যাক্টিস করো। ঋত্বিক ঘটকের ছবির সঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে লেখা আছে এই কথা। আর ভেবে ভেবে বিচারপতির সামনে আরও ১০ প্রশ্ন হাজির করার জানালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। একেবারে দশে দিক

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার একেবারে সাড়া ফেলে দিয়েছে বাংলার অন্দরে। তবে এবার সেই সাক্ষাৎকারে যে প্রশ্নগুলি করা হয়েছে, তার সঙ্গে আরও দশটি প্রশ্ন সংযুক্ত করার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি লিখেছেন, সুমনবাবুর জায়গায় আমি থাকলে জাস্টিস গাঙ্গুলির প্রতি এই ১০টি প্রশ্ন আমি যুক্ত করতাম। আশা করি এই প্রশ্নগুলি তোলার অধিকার আমায় আমার সংবিধান দিয়েছে। এবার দেখা যাক কী সেই প্রশ্ন?

দেবাংশু বলছেন ফেসবুকে, আমার মনে হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে কিছু কিছু প্রশ্ন হয়তো মিস হয়ে গেল। সাধারণ মানুষ হিসাবে আমরা জানতে চেয়েছিলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমি যদি সুমনবাবুর জায়গায় থাকতাম তবে এই ১০টি প্রশ্ন যোগ করতে পারতাম। একজন বিচারপতির যেমন বাকস্বাধীনতা আছে তেমনি একজন নাগরিক হিসাবে আমার স্বাধীনতা আছে পাবলিকের সঙ্গে শেয়ার করার।

১) কোনও একটি মামলা চলাকালীন আপনি রাহুল গান্ধীর সম্পত্তি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কথা বলেছিলেন।… মামলায় পার্টি নয় এমন কোনও ব্যক্তিকে যখন টেনে আনলেনই তখন ভারতীয় জনতা পার্টির কোনও নেতার নাম নেওয়ার সাহস করেননি কেন? নাকি আপনি বিশ্বাস করেন বিজেপিতে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি নেই।

২)… অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় তো আপনার নাম নেননি হঠাৎ করে ঠাকুরঘর থেকে আপনি কলা খাইনি বলে ডেকে উঠলেন কেন?

৩) এই রাজ্যে বসে আপনি একের পর এক নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন। অন্যায় হলে অবশ্যই করতে পারেন। কিন্তু সমস্ত বিষয় নিয়ে যদি মন কাঁদে তবে বিচারপতি লোহিয়ার মৃত্যু নিয়ে আপনাকে আওয়াজ তুলতে দেখা যায়নি কেন?

৪) আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বললেন উনি খুব রেগে যান, প্রতিশোধ নেন। একজন বিচারপতি হিসাবে আইনের বাইরে গিয়ে একজন ব্যক্তির চরিত্র বিশ্লেষণ করা কি আইনের মধ্যে পড়ে?…

৫)অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে সুদূর বীরভূম থেকে কলকাতায় ডাকিয়ে আনলেন কেন? আদালত কি তার খরচ বহন করেছে বা ভুলবশত ডাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে?

৬) প্রাজ্ঞ আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বার বার বলেছেন আপনি নাকি আইনের কিছুই জানেন না। আপনি কি এই চ্যানেলেই অরুণাভ ঘোষের সঙ্গে বিতর্কে বসতে চাইবেন? প্রথমে অবশ্য তিনি অরুণাভ গাঙ্গুলি বলেই উল্লেখ করেছিলেন। পরে সংশোধন করেন।

৭) বহু মানবিক রায় আপনি দিয়েছেন এটা সত্যি। অঙ্কিতা অধিকারী মন্ত্রী বাবার প্রভাব কাজে লাগিয়ে চাকরি পেয়েছেন এটা কোথাও প্রমাণ হয়নি। সেই অঙ্কিতা অধিকারী যে মামলার পার্টি নন……. সেই মামলার পার্টি না হয়ে তিনি কীভাবে শাস্তি পান? পার্থ চট্টোপাধ্যায় এরপর যদি বলেন টাকার বিনিময়ে নয়, মানবিক দিক থেকে চাকরি দিয়েছেন? খানিকটা এমনই প্রশ্ন দেবাংশুর।

৮) ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসার কথা বললেন। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা বললেন। কেন্দ্রের শাসকদল নিয়েও নিশ্চুপ ছিলেন। বাংলার মানুষ যদি সরলীকরণ করার চেষ্টা করেন তবে ভুল করবেন কি?

৯) বিচারপতিরা যেভাবে অবসর নেওয়ার পরে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের রাজ্যসভার সদস্য হয়ে যাচ্ছেন তাতে তাঁদের পূর্বকার্য নিয়ে কি প্রশ্ন উঠছে না?

১০)  লাইমলাইটে  আসা যদি আপনার উদ্দেশ্য না হয় তবে আপনি রেওয়াজ ভেঙে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন কেন? আপনি কোর্টরুমের মধ্যেই আপনার দুর্নীতি বিরোধী বিপ্লব চালিয়ে যেতে পারতেন?

বন্ধ করুন