গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে জাল আরও ছড়াচ্ছে CBI. গোয়েন্দাদের দাবি, শুধু বিএসএফ কম্যান্ডার সতীশ কুমার নয়, পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বিএসএফ ও শুল্ক দফতরের অন্তত ১২ জন আধিকারিক। এদের মধ্যে ৭ জন বিএসএফ ও ৫ জন শুল্ক দফতরের আধিকারিক। পাচারকারী এনামুল হক-সহ আরও ৩ ব্যবসায়ীর জঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তাঁরা।
গোয়েন্দাসূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুল ছাড়াও আনারুল শেখ ও গোলাম মোস্তফা নামে ২ পাচারকারীর সন্ধান মিলেছে। এদের কাছেই আটক হওয়া গরুর দাম কম দেখিয়ে নিলাম করা হত। সেই গরু বাংলাদেশে পাচার করতেন এই তিন ব্যবসায়ী। আর তা থেকে মোটা টাকা যেত বিএসএফ ও শুল্ক দফতরের পকেটে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আটক করা বড় গরুকে ছোট আকারের দেখিয়ে সরকারি তহবিলে নাম মাত্র টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন এই ১২ জন আধিকারিক। গরু যাদের বিক্রি করার হত তাদের কাছ থেকে গরুর দাম ছাড়াও নেওয়া হত অতিরিক্ত ২৫০০ টাকা। এর মধ্যে ২,০০০ টাকা ঢুকত বিএসএফএর পকেটে। বাকি ৫০০ টাকা নিতেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। এর পর বিনা বাধায় গরু পৌঁছে যেত সীমান্তের ওপারে।
গরু পাচারের জাল কাটতে বুধবার কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি ঠিকানায় তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। বিধাননগরে অভিযুক্ত আধিকারিক সতীশ কুমারের বাড়ি সিল করে দিয়েছে CBI.