কখনও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে, কখনও বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর নামে আবার কখনও টেক সাপোর্ট দেওয়ার নামে চলছে প্রতারণা। এইসব প্রতারণা হচ্ছে ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই সব বন্ধ করার নির্দেশ পাওয়ার পরেই ভুয়ো কলসেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে বিধাননগর পুলিশ। গত মাস থেকে সল্টলেক, সেক্টর ফাইভ এবং নিউটাউনে অভিযান চালিয়ে ১২টি ভুয়ো কলসেন্টার বন্ধ করেছে পুলিশ। এছাড়া ১৭৮ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, ‘কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না। সে সংস্থার পরিচালক হোক বা কর্মচারী। কোথায় কোথায় ভুয়ো কলসেন্টার রয়েছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। সম্প্রতি, এক মার্কিন ইউটিউবার নিউটাউনে তিনটি কল সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশে প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন। তারপরেই পুলিশ নজরদারি জোরদার করে এবং বেশ কয়েকটি ভুয়ো কল সেন্টার বন্ধ করে। শুধুমাত্র সেক্টর ফাইভ এবং নিউটাউনের বাণিজ্যিক স্থানেই নয়, তার বাইরেও ভুয়ো কলসেন্টার চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই পুলিশ কমিশনার সমস্ত থানাকে অভিযান বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পুলিশের বক্তব্য, অনেকেই মিথ্যে কথা বলে নিয়োগ করা হচ্ছে। তারপর তাদের দিয়ে ভুয়ো কলসেন্টার চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তারাও গ্রেফতার হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘আদালতে তোলার সময় আমরা পরিচালক এবং মূল অপারেটরদের জন্য পুলিশ হেফাজত, স্থায়ী কর্মচারীদের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজত চাইছি। তবে তরুণ কর্মচারীদের জন্য জামিনের বিরোধিতা করছি না।’ প্রতারকরা সাধারণত ই-কমার্স ফার্ম, ট্যাক্স বডি এবং ডিজিটাল অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানির কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকে। এছাড়াও, নিজেদেরকে টেলিকম অপারেটর হিসাবে পরিচয় দিয়েও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণা করে থাকে।