সুবর্ণ গোস্বামী। চিকিৎসক আন্দোলন যখন একেবারে তুঙ্গে তখন বার বার ঘুরে ফিরে আসে একটা নাম ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী। বার বার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে সর্বশক্তি দিয়ে রয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ। শিরদাঁড়া কাকে বলে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। এদিকে সেই সুবর্ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে বার বার কাদা ছুঁড়েছে তৃণমূল। এমনকী তৃণমূলের আইটি সেলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও সুবর্ণ গোস্বামী সম্পর্কে নানা পুরনো খবর তুলে এনেছেন। এমনকী এনিয়ে বেশ গর্ববোধ করেছেন দেবাংশু।
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুলেছেন চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তিনি বর্তমানে পূর্ব বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ পদে কর্মরত। গত ২০ বছরে তিনি ১৩ বার বদলি হয়েছেন। বাম আমলে তাঁকে চার বার বদলি করা হয়েছিল। আর তৃণমূলে জমানায় তিনি তো কার্যত ব্যাগ গুছিয়েই রাখেন। ইতিমধ্যেই ৯ বার বদলি হয়েছেন তিনি। তবে এমন নজিরও রয়েছে যে তাঁর বদলি রুখতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন সাধারণ মানুষ।
তবে এবার প্রশ্ন উঠছে তিনি কলকাতায় আন্দোলনস্থলে আসেন কীভাবে? তাঁর কর্মস্থল তো বর্ধমানে।
তিনি জানিয়েছেন, এই আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে আমার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্য়া অভিযোগ আনা হচ্ছে। এটাও তার মধ্যে একটা । অনেক চিকিৎসক তাঁর কর্মস্থল থেকে নিয়মিত যাতায়াত করছেন। আমিও তাই-ই। আমি আমার কাজ শেষ করে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। এছাড়া ছুটির দিনের কর্মসূচিতে যোগ দিই। কোনও দিন কাজে ফাঁকি দিয়ে কিছু করিনি।
সেই সঙ্গেই তৃণমূলের তরফ থেকে বার বারই অভিযোগ তোলা হয়েছিল এই সুবর্ণ গোস্বামীই বলেছিলেন হাইমেনের ভেতর থেকে ১৫০ গ্রামের বেশি লিকুইড স্যাম্পেল পাওয়া গিয়েছে। এটা হয়তো রক্তমাখা বীর্য। তবে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তার ব্যাখা দিয়েছেন তিনি।
ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, আমি ১৫০ গ্রাম বীর্যের কথা কখনও বলিনি। আমি বলেছিলাম ১৫০ গ্রামের মোস্ট স্পেসিফিকালি ১৫১ গ্রামের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে তরল সাদা চটচটে পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। …
তবে স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে সেই বাম জমানা থেকেই অকপট সুবর্ণ। তিনি জানিয়েছেন, বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল আমলেও হচ্ছে। তবে ২০২১ সালের আগে দুর্নীতির একটা চেহারা ছিল। ২০২১ সালের পরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়োগে বড় দুর্নীতি হতে শুরু করল। …তবে তৃণমূল অবশ্য এত সহজে ছাড়ছে না সুবর্ণ গোস্বামীকে। প্রাক্তন এসএফআই নেতাকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়ছে তৃণমূল।