কোচিং ক্যাম্পে অনুশীলন করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক খুদে ফুটবলারের। ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামবাজারের একটি ক্লাবে। খুদে ফুটবলারের মৃত্যুর পিছনে ক্লাবকেই দায়ী করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকালে শ্যামবাজার উত্তর প্রান্তিক ক্লাবে অনুশীলন করতে গিয়েছিলেন ১৪ বছরের সুকদেব সাহা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, এদিন যখন সুকদেব অনুশীলন করতে আসে, তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি সুস্থ আছে কিনা। সুকদেব সুস্থ থাকার কথা বললে তাকে অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হয়। দৌড় শুরু করার পর ৫০ থেকে ৬০ গজ যেতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সুকদেব। এরপর তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ১৪ বছরের ওই কিশোরের মৃগী ছিল। সে পুরোপুরি সুস্থ ছিল না। এর আগে বেশ কয়েকদিন অনুশীলনে আসা বন্ধ রেখেছিল ওই কিশোর।
ছেলের এইভাবে চলে যাওয়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর বাবা। সুকদেবের বাবা গৌতম সাহা জানান, তাঁকে ঠিক সময় ডাকা হয়নি। আরও আগে ডাকলে হয়ত ছেলেকে বাঁচাতে পারতেন তিনি। শেষ চেষ্টা একটা করা যেত। এই ঘটনায় ক্লাব কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। এর আগেও মাঠে খেলতে খেলতে ফুটবলারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রতিটি ক্লাবে লাইফ সেভিং কিট থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু শ্যামবাজারের ক্লাবে তা ছিল না বলে অভিযোগ।