কলকাতায় খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হল পুলকার বা স্কুল বাস। অথচ সেই পুলকারের চাকাতে রাতারাতি কাঁটা লাগিয়ে নোটিশ সাঁটিয়ে দিল কলকাতা পুরসভা। বেআইনিভাবে পার্কিং করার অভিযোগে পুলকার এবং স্কুলবাসের চাকাতে কাঁটা লাগানো হয় বলে অভিযোগ।ওই এলাকায় ১৩টি পুলকার ও স্কুলবাসে কাঁটা লাগায় পুরসভা। সব মিলিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৫১টি গাড়ির চাকায় কাঁটা আটকে দেয় পুরসভা। ঘটনাটি দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্কের রিজেন্ট এস্টেটে ঘটেছে যার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হল ছাত্র-ছাত্রীদের। এই ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা। যদিও মেয়র পারিষদের সাফাই, ‘এটা একেবারে ঠিক কাজ হয়নি। আগে নোটিশ পাঠানো উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে পুলকার ও স্কুল বাসের ভাড়া বাড়ছে ৮-১৫ শতাংশ
কলকাতায় বেআইনি পার্কিং নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ নিয়ে বারবার কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। জানা যাচ্ছে রিজেন্ট এস্টেট এলাকায় সোমবার রাতে বেআইনিভাবে পার্কিং করা হয়েছিল ওই সমস্ত গাড়ি। এরপর রাতেই কলকাতা পুরসভার পার্কিং বিভাগের কর্মীরা গাড়ির চাকায় কাঁটা লাগিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বেআইনিভাবে পার্কিং করার জন্য নোটিশও সাঁটিয়ে দেন। সকালে এসে গাড়ির চালকরা দেখেন চাকায় কাঁটা লাগানো রয়েছে। ফলে সেখান থেকে গাড়ি বের করতে পারেননি চালকরা। এই অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। স্কুলে যেতে গিয়ে তারা সমস্যার পড়ে। জানা গিয়েছে, সেখানে মোট ৫১টি গাড়ি বেআইনিভাবে পার্কিং করা হয়েছিল। ওই সমস্ত গাড়ির চাকাতে কলকাতা পুরসভার তরফে কাঁটা লাগানো হয়। ফলে এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও গাড়ি বের করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।
তবে স্কুলের গাড়িতে কাঁটা লাগানো নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভাকে। অভিভাবকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। সেই ঘটনাটি পৌঁছয় কলকাতা পুরসভার পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের কাছেও। এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ বলেন, ‘বেআইনিভাবে কেউ পার্কিং করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে ঠিকই। তবে পুলকার আটকানো ঠিক হয়নি।প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারত।
প্রসঙ্গত, রিজেন্ট এস্টেট এলাকায় বিগত দু দশক ধরে স্কুল গাড়ি এবং অন্যান্য গাড়ি পার্কিং হয়ে আসছে। চালকদের দাবি, আগাম কোনও ঘোষণা বা নোটিশ ছাড়াই এই কাজ করেছে পুরসভা। এবিষয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযান চলছে। তবে পড়ুয়াদের স্বার্থে পুলকারের মালিকদের আগাম নোটিস দেওয়া উচিত ছিল।’