স্যালাইন কাণ্ডে বিতর্কের পর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যালাইন এবং ১৪ ধরনের ওষুধ নিষিদ্ধ করেছিল রাজ্য সরকার। আর এবার ফার্মা ইমপেক্সের একাধিক ব্যাচের আইভি ফ্লুইডে ছত্রাক পাওয়ায় এই সংস্থার ওষুধও নিষিদ্ধ করল স্বাস্থ্য দফতর। উল্লেখ্য, আগেই এই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওই সংস্থার ১৭ ধরনের ওষুধ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যানসার–সহ শুল্ক মাফ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে, বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের
জানা গিয়েছে, এই সংস্থার ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে বারুইপুরে। সেই কারখানা পরিদর্শন করেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তারপরেই সংস্থার ১৭ ধরনের ওষুধের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হল। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। এই ১৭ ধরনের ওষুধ ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যতদিন পর্যন্ত নতুন টেন্ডার ডাকা হচ্ছে ততদিন বাইরের ওষুধ কিনে চালাতে বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।
যে ১৭ রকমের ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা উপশমের ওষুধের পাশাপাশি প্যারাসিটামল। উল্লেখ্য, বারুইপুরের রামনগরে অবস্থিত এই সংস্থার ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে এই কারখানাটি তৈরি হয়েছিল ২০১৭ সালে এরপর ২০১৯ সাল থেকে রাজ্য সরকারকে ওষুধ সরবরাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে সংস্থাটি। স্যালাইন কাণ্ডের আগে এই সংস্থাটি রাজ্য সরকারকে ৭ রকমের ওষুধ এবং স্যালাইন সরবরাহ করতো। তবে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থার ওষুধ এবং স্যালাইন নিষিদ্ধ হওয়ার পরেই এই সংস্থাটি ১০ ধরনের ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহের বরাত পায়। তারপরেই বিপাকে পরে সংস্থাটি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সংস্থার বারুইপুরের কারখানায় ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালান সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল ও রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা।
গত ২৯ জানুয়ারি ওষুধ উৎপাদন বন্ধের জন্য সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এরপর শুক্রবার ১৭ রকমের ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়। উল্লেখ্য, এই সংস্থাটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালেই নয়, ২০২০ সাল থেকে ওড়িশা, তামিলনাড়ু, বিহার, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে ওষুধ সরবরাহ করে আসছে। এছাড়াও, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে নতুন করে ওষুধ সরবরাহের বরাত পেয়েছে এই সংস্থা। এই সংস্থার ওষুধের গুণমান যাচাই করার জন্য রিঙ্গার ল্যাকটেক-সহ ৪ ধরনের স্যালাইনের নমুনা ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।