এবার বাংলায় প্রস্তুতির সময় না মেলায় বাণিজ্য সম্মেলন হবে না বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে বিরোধীরা রীতিমতো রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা তোপ দাগতে শুরু করেছেন। তবে কি এই বাংলায় বিনিয়োগ টানতে একেবারেই উৎসাহী নয় রাজ্য সরকার?
কিন্তু কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক যে তথ্য় পেশ করেছে তাতে রয়েছে একেবারে চমকে দেওয়া খবর। বর্তমান সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলায় যে বিনিয়োগ এসেছে তা গত ১০ বছরে ১২ মাস জুড়ে গড়ে যে পরিমাণ বিনিয়োগ এসেছিল তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে ওই দুমাসে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এককথায় একেবারে চমকে দেওয়া তথ্য। কেবলমাত্র বড় সংস্থার হাত ধরে বাংলায় এই লগ্নি এসেছে। এটা অনেকের কাছেই আশার আলো।
কারণ বিনিয়োগ মানেই সামগ্রিকভাবে এলাকায় আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতির হাওয়া বইবে। বিনিয়োগ মানেই বেশি বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ। সব মিলিয়ে বাংলায় থেকে বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন, বড় বিনিয়োগকারীরা আর আসতে চাইছেন না বাংলায় এই সংক্রান্ত নানা ধরনের বদনাম রয়েছে বাংলা সম্পর্কে। সেই নিরিখে যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তা বাংলার মুখ উজ্জ্বল করার পক্ষে যথেষ্ট।
এদিকে কোথায় কত বিনিয়োগ হয়েছে, কত কর্মসংস্থান হতে পারে তারও একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে।
ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, জানুয়ারিতে লগ্নি হয়েছে ১৬ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। এই প্রস্তাবিত শিল্পগুলিতে ৪ হাজার ৮৯১ জনের কর্মসংস্থান হতে পারে।
কোন কোন ক্ষেত্রে লগ্নি হয়েছে?
স্টিল কাস্টিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনস্যুলেশন, পোশাক, ডাকটাইল আয়রন পাইপ, স্টিল প্রসেসিং, রেলের বগি সংক্রান্ত শিল্পে বিনিয়োগ হয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলায় লগ্নির অঙ্ক ছিল ১ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। আর চলতি বছরে দেখা গেল প্রথম দু মাসে লগ্নি অঙ্ক হয়েছে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর সেটা আবার ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্রে নয়। সেটা হয়েছে বড় শিল্প ক্ষেত্রে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া। সেই সঙ্গেই যেটা বলা হচ্ছে যে এর সঙ্গে যদি ক্ষুদ্র শিল্পের বিনিয়োগের বিষয়টি যুক্ত করা হয় তবে এই বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তার জেরে বাংলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়তে পারে।