বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজ্যের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে। তার পরেও রাজ্যের ১৯ জন মন্ত্রীর থেকে কড়া নিরাপত্তা পান তিনি। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে শুভেন্দুর দায়ের করা মামলায় এমনই সওয়াল করলেন সরকারি আইনজীবী। শুক্রবার এই মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত।
এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর শুভেন্দুর নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের আলোচনা হয়। তাতে ঠিক হয় ২১ ডিসেম্বর থেকে শুভেন্দুকে জেড শ্রেণির নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্র। তার পর থেকে শুভেন্দুকে ঘিরে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৮ জন জওয়ান। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চলাফেরা করেন তিনি। রাজ্যের মাত্র ৫ জন মন্ত্রী শুভেন্দুর সমান নিরাপত্তা পান। বাকি ১৯ জনের নিরাপত্তার স্তর শুভেন্দুর থেকে কম।
রাজ্যের তরফে সওয়াল করে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘মামলাকারীর অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে নিরাপত্তার স্তর ঠিক করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার নিরাপত্তা দেওয়ায় রাজ্য তার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে।’
পালটা শুভেন্দুর আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে মাওবাদীরা হুমকি দিয়েছে। তাছাড়া গত ২ মে ভোটগণনার পর হলদিয়ায় সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ফলে কী করে বলা যেতে পারে তিনি নিরাপদ?’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘রাজ্য নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিনি পাইলট করা পাচ্ছেন না। তাঁর যাত্রাপথে আগে থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকছে না। এমনকী যে জায়গায় তিনি যাচ্ছেন সেখানে ভিড় সামলানোর কোনও ব্যবস্থাও থাকছে না। যার ফলে তাঁর সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে।’
দুপক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদ জানা, শুক্রবার এই মামলার রায় ঘোষণা হবে।
বলে রাখি, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু।