করোনায় একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনায় আক্রান্ত হন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দুই শীর্ষ কর্তা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য দু'জনেই করোনায় আক্রান্ত হন। পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর সন্তোষ মোহনও করোনায় আক্রান্ত হন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দুই শীর্ষ কর্তা-সহ স্বাস্থ্য ভবনের ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন ধরেই শরীর ভালো যাচ্ছিল না রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার। করোনার নানা ধরনের উপসর্গ তাঁর শরীরেও দেখা দিচ্ছিল। এরপরই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়। তারপরই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রথমদিকে বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। কিন্তু তাঁর অনেক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। ফলে তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করোনার ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। সেই কারণে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ ৪০ জনকে বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৯,২৮৬ জনের হদিশ মিলেছে। রবিবারের বুলেটিনে সেই সংখ্যাটা ছিল ২৪,২৮৭। একধাক্কায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫,০০০ কমলেও আখেরে পশ্চিমবঙ্গের করোনা চিত্রের মোটেও উন্নতি হয়নি। উলটে সংক্রমণের হার বা পজিটিভিটি রেট বেড়ে ৩৭.৩২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। যা আগেরদিন ৩৩ শতাংশের মতো ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫১,৬৭৫ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগেরদিন সেই সংখ্যাটা ছিল ৭১,৬৬৪। অর্থাৎ ২০,০০০ নমুনা পরীক্ষা কমতে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০০ কমে গিয়েছে।