সম্প্রতি বাংলায় নতুন ইস্যু সামনে এসেছে। সেটা হল বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা। বাঘাযতীন, ট্যাংরায় একের পর এক বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। আর এবার একই ঘটনা সামনে এসেছে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায়। এই পুরসভার অন্তর্গত বাগুইহাটির জগৎপুরে দুটি ফ্ল্যাট বাড়ি হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই দুটি এলাকা পড়ছে বিধান নগর পুরনিগমের ৩ নম্বর এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিধানগর পুরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারপরই পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পুরসভায় বিক্ষোভ বামেদের, ডেপুটেশন মেয়র ফিরহাদকে
সূত্রের খবর, বিধাননগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ি হেলে পড়েছে আর অন্য বাড়ি হেলে পড়েছে পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝুঙ্কু মণ্ডল হেলে পড়া বাড়ি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জানান বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। যদিও এই ঘটনার জন্য বামেদেরকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন বাড়িগুলি নির্মাণ হয়েছিল ২০০৩-০৪ সালে। তখন এটি বিধানননগর পুরসভার মধ্যে ছিল না।
এখন বিষয়টি জানতে পারার পর পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট বাড়ি হেলে পড়ার বিষয়টি সামনে এসেছে বৃহস্পতিবার। যেখানে ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরি হয়েছে সেখানে আগে একটি পুকুর ছিল। সেটি ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিধাননগর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নারায়ণপুর অঞ্চলে অন্য ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ট্যাংরায় বহুতল হেলে পড়ার বিষয়টি সামনে আসে বুধবার। যদিও সেখানে কোনও বাসিন্দা ছিলেন না। কারণ সেটি নির্মীয়মাণ বহুতল ছিল। তবে রাজমিস্ত্রিরা সেখানে ছিলেন। বিষয়টি সামনে আসতেই তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। পুরসভার দাবি, এ ক্ষেত্রে কোনও শর্তই মানা হয়নি। এদিকে, বারবার এমন ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল কলকাতা পুরসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাম কাউন্সিলররা। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এক তৃণমূল কাউন্সিলরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।