বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Covid death in Kolkata: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আরও দুজনের, মাস্ক পরার পরামর্শ চিকিৎসকদের

Covid death in Kolkata: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আরও দুজনের, মাস্ক পরার পরামর্শ চিকিৎসকদের

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আরও দুজনের। প্রতীকী ছবি

স্তন ক্যানসার ছিল দীপার। গত ২৬ এপ্রিল করোনার উপসর্গ নিয়ে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তার ডেথ সার্টিফিকেটে করোনা উল্লেখ করা রয়েছে। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে জহরলাল রায় নামে এক বৃদ্ধের।

গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। মৃতদের নাম অনিতা বর্মন ভৌমিক (৫৬) এবং দীপা গুপ্ত (৬০)। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয়েছে অনিতার। অন্যদিকে, আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা দীপার মৃত্যু হয়েছে শনিবার সকালে। তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা ছিল। ক্যানসার ছাড়াও বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন দীপা। সেই কারণে তিনি করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্তন ক্যানসার ছিল দীপার। গত ২৬ এপ্রিল করোনার উপসর্গ নিয়ে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তার ডেথ সার্টিফিকেটে করোনা উল্লেখ করা রয়েছে। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনের বাসিন্দা জহরলাল রায় নামে এক বৃদ্ধের। ৭ দিন আগে তাকে ভরতি করা হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বিদেশ দত্ত নামে দমদমের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার। দুজনের ডেথ সার্টিফিকেটেই করোনার উল্লেখ করা রয়েছে। অর্থাৎ তিন দিনে শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বর্তমানে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মূলত বয়স্ক ব্যক্তিদের শরীরে অন্যান্য সমস্যা থাকার কারণে করোনা আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী বর্তমানে রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ২১৫০টি। এর মধ্যে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ১০২ জন। শনিবার নতুন করে রাজ্যের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৭ জন। বর্তমানে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ১৫.১৭ শতাংশ। এর মধ্যে সবথেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি কলকাতায় এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, করোনা টেস্ট আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে। তবে টেস্ট বাড়লেও সংক্রমণ সেভাবে বাড়েনি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এদিকে, করোনা রোগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পুনরায় চালু করা হয়েছে কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন