করোনার জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব তদন্তে আরও বেশি করে সক্রিয় হতে দেখা গেল রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনকে।তদন্ত কমিটিতে আরও ২ জন অফিসারকে নিয়োগ করেছে প্রশাসন।সেইসঙ্গে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব দোষী চিহ্নিত করতে হবে।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।তিনজনের কমিটিতে রাখা হয়েছে অ্যানেস্থিশিয়া, কার্ডিওথেরাসিক ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসককে।৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।এবার আরও ২ জন ডব্লুবিসিএস অফিসারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে টসিলিজুমাব নিয়ে নেওয়া নিয়ে বড়সড় কেলেঙ্কারি সামনে আসে। নাম জড়ায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী সহ হাসপাতালের কর্মীদের একাংশের।এই দুর্নীতির ঘটনায় জড়িয়ে যায় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির নামও।যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে এখন আর যুক্ত নন।তিনিও চান, এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক।
উল্লেখ্য, করোনা চিকিৎসায় টসিলিজুমাব খুবই প্রয়োজনীয়।জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে টসিলিজুমাবের ২৬টি ওষুধ উধাও হয়েছে।এই ওষুধের দাম প্রায় কয়েক লাখ টাকা।ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই একজন মহিলা চিকিৎসকের যুক্ত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে।ইতিমধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একটি ফোনালাপের অডিও টেপ সামনে এসেছে। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই টসিলিজুমাব কাণ্ডে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আগামী ৭ জুন এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।মামলাকারীর দাবি, চেয়ারম্যান নিজেই জড়িত এই ঘটনায়।ফলে সঠিক তদন্ত হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।