আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তুমুল বিক্ষোভের সময় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যার নামে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় দুই তরুণীকে গ্রেফতারের পর হেফাজতে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পুনরায় এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দুই তরুণী। মঙ্গলবার দুই মামলাকারী এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলার শুনানির জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অভিষেক কন্যা মামলায় ২ তরুণীকে মারধরে CBI তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টের
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে এই সংক্রান্ত মামলা চলছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীকে। তাই দুই তরুণী প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশি হেফাজতে তাঁদের উপরে অত্যাচার হয়েছিল। আদালতের নজরদারিতে সেই ঘটনার তদন্ত করুক সিট। আর তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে যখন গোটা রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, সেই সময় ডায়মন্ড হারবারে একটি সভায় অভিষেক কন্যার নামে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ সামনে আসে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিয়োর ভিত্তিতে দুই তরুণীর বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।
অভিযোগ, এর পর ডায়মন্ড হারবারে নিয়ে গিয়ে পুলিশ হেফাজতে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথমে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেখানেও নির্দেশ বহাল থাকে। তবে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিতাদেশ জারি করে। শীর্ষ আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিন আইপিএস অফিসারকে নিয়ে সিট গঠিত হয়। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টে মামলা ফেরত পাঠায়। তবে মামলাকারীদের দাবি, শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশে ত্রুটি ছিল। সেখানে পুলিশি হেফাজতে অত্যাচারের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।