২০১০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ২০০ জন যোগ্য প্রার্থীকে মেধা তালিকা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলায়।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কেন তাদের বঞ্চিত করা হল? তা জানতে পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আরও পড়ুন: ২০১৭, ২২ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের কমিটি গড়ল কলকাতা হাইকোর্ট
অভিযোগ উঠেছে, এই ২০০ জন প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও মেধা তালিকায় স্থান পাননি। তাই বিচারের দাবিতে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলার বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগের জন্য উত্তর ২৪ পরগনার ওই চাকরিপ্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন। সেই নিয়োগের পরীক্ষা হওয়ার কথা ২০১১ সালে। যদিও ওই বছর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ৪ বছর পর ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ লিখিত পরীক্ষা হয়। ওই বছরই ফল প্রকাশ হয়। পরে ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, এই সমস্ত প্রার্থীদের সর্বোচ্চ নাম্বার থাকা সত্ত্বেও তাদের মেধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাটি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত করার আবেদন জানান। এদিকে,পর্ষদের তরফে নথি জমা দেওয়া হয় হাইকোর্টে। সেই নথি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি।সে তথ্যে বলা রয়েছে, মামলাকারীরা বেশি নম্বর পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও কেন তাদের বঞ্চিত করা হল? তাই নিয়ে পর্ষদের কাছে জানতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও সন্তোষমূলক জবাব দিতে পারেনি পর্ষদ। তারপরে বিচারপতি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। উল্লেখ্য, এই মামলায় আগেই পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে আরও কিছুটা সময় চান পর্ষদের আইনজীবী। একই সঙ্গে যারা যারা নতুন করে মামলায় যুক্ত হয়েছেন তাদের মামলার রিপোর্টও আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।