কালো টাকা বিদেশ থেকে ফেরেনি। নগদহীন হয়নি দেশের অর্থনীতিও। উল্টে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে বেড়ে গিয়েছে বেকারত্বের পরিসংখ্যান। একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাতে বাড়ছে সাধারণ মানুষের হয়রানিও। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন, ২০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় তখন অসাধারণ মিম তৈরি করে মানুষের হৃদয় স্পর্শ করল আমূল গার্ল।
ইতিমধ্যেই ২০ মে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে ২০০০ টাকার নোট। তবে নোট বাতিলের মতো রাতারাতি বিষয় নয়। বরং তাতে সময় মিলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ফলে আসতে ধীরে সেসব নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা করার সুবিধে খোলা রাখছে আরবিআই। এবার আরবিআইয়ের এই নয়া নির্দেশিকাকে সামনে রেখে মিম নিয়ে চলে এসেছে বিখ্যাত ‘আমূল গার্ল’। সেটা সংস্থা তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করতেই ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে।
এদিকে এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তিনি তোপ দেগে লিখেছেন, ‘২০০০ টাকার নোট বাতিল আরও একটি বাতিকগ্রস্ত ও তুঘলকি নাটক। আরও একবার ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়বেন সাধারণ মানুষ। এই সরকারের জনবিরোধী ও পুঁজিবাদী মুখকে আড়াল করতেই এমন অসাধু পদক্ষেপ। এই দানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র।’ ছ’বছর আগে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, কালো টাকার রমরমা বন্ধ করতে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাস্তবে রোখা যায়নি কালো টাকা। আর তা নিয়েই এখন মিম তৈরি হয়েছে। কেউ লিখছেন, ‘মিত্রোঁ আবার লাইনে দাঁড়ানোর সময় এসে গিয়েছে।’ আবার কেউ লিখছেন, ‘২০০০ টাকাও জলে গেল’।
কিন্তু আমূল কী টুইট করেছে? অন্যদিকে এই ২০০০ টাকা বন্ধের ইস্যুতে একটি অসাধারণ টুইট করেছে আমূল সংস্থা। আমূল গার্লকে সামনে রেখে মিম করে লেখা হয়েছে, ‘ব্যাঙ্কের কাউন্টারে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে দাঁড়িয়ে সে। আরেক হাতে আমূলের মাখন। ওপরে লেখা, ‘Now you currensee it, now you don’t’। নীচে লেখা, ‘Amul: always in circulation’। অর্থাৎ ‘কারেন্সি’ বা মুদ্রার ইংরেজি প্রতিশব্দ এবং ‘ক্যান সি’—এই দুটি শব্দকেই হালকা করে এলোমেলো করে দিয়েছে আমূল। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘এখন আর এই কারেন্সিকে দেখা যাবে না। কিন্তু আমূলকে সবসময়েই পাওয়া যাবে, তার ‘সার্কুলেশনে’ কোনও কমতি নেই।’